অনির্দিষ্টকাল ধরে সরকারি জায়গা আটকে প্রতিবাদ নয়, শাহিনবাগ প্রসঙ্গে জানাল সুপ্রিমকোর্ট

0
82

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

অনির্দিষ্টকাল ধরে সরকারি জায়গা আটকে রেখে নয়, নির্দিষ্ট স্থানেই প্রতিবাদ প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া উচিত। শাহিন বাগ নিয়ে করা পিটিশন মামলায় স্পষ্ট ভাবে জানালো সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, রাস্তা অবরুদ্ধ হলে তা মুক্ত করার দায়িত্ব প্রশাসনের। এই ক্ষেত্রে আদালতের হস্তক্ষেপের আগে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি, যা দুর্ভাগ্যজনক।

Supreme court | newsfront.co
ফাইল চিত্র

বিচারপতি এসকে কৌলের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এদিন শাহিনবাগ পিটিশনের শুনানিতে জানিয়েছেন, পাবলিক প্লেস অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা যাবে না। মতপার্থক্য ও গণতন্ত্র পাশাপাশি চলবে ঠিকই কিন্তু প্রতিবাদ-বিক্ষোভ নির্দিষ্ট জায়গাতেই হওয়া উচিত।

অনির্দিষ্টকালের জন্য সরকারি জায়গা অবরুদ্ধ হয়ে থাকবে, তা মেনে নেওয়া যায় না। গত বছর ডিসেম্বরে সংসদে পাস হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল, রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর তা পরিণত হয় সিএএ বা সিটিজেনশিপ এমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট।

আরও পড়ুনঃ এবার থেকে দ্বিতীয় রিজার্ভেশন চার্ট তৈরি হবে ট্রেন ছাড়ার আধঘন্টা আগে

এরপরই দেশজুড়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলন জোরালো হয়ে ওঠে। সেই আন্দোলনে অন্যতম মুখ্য ভূমিকা হয়ে ওঠে দিল্লির শাহিনবাগ। ১৫ ডিসেম্বর থেকে প্রায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে শাহিনবাগে অবস্থান করেন সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুনঃ নবান্ন অভিযানের আগেই সায়ন্তনের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক

গত ফেব্রুয়ারি মাসে আইনজীবী অমিত সাহনি ‘রাস্তা আটকে থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ’ এই মর্মে শাহিনবাগের রাস্তার অবরোধ তোলার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিলেন। সেই পিটিশনের শুনানির প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অনির্দিষ্টকাল ধরে পাবলিক প্লেস আটকে রেখে প্রতিবাদ দেখানো যাবে না।

আরও পড়ুনঃ এসবিআইয়ের পরবর্তী চেয়ারম্যান হচ্ছেন দীনেশ কুমার খারা

গত ২১ সেপ্টেম্বর আদালত শাহিনবাগের রাস্তা অবরোধ সংক্রান্ত রায় সংরক্ষণ করে। যদিও পর্যবেক্ষণে এই তিন সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছিল, বিক্ষোভ ও মানুষের আধিকারের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকা প্রয়োজন। অবরুদ্ধ রাস্তা ব্যবহারের সম্পূর্ণ অধিকার সাধারণ মানুষের রয়েছে।

সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে বলেছিলেন, প্রতিবাদ দেখানোর অধিকার অবশ্যই মৌলিক অধিকার, কিন্তু তার সুনির্দিষ্ট সীমারেখা আছে। চলতি বছর ২৩ মার্চ আন্দোলনকারীরা অবস্থান প্রত্যাহার করে নেন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে।

১০০ দিনের বেশি সময় ধরে দিল্লির সঙ্গে নয়ডার সংযোগকারী রাস্তা আটকে প্রায় ৩০০র ওপর মহিলা সিএএ বিরুদ্ধে শাহিনবাগে বিক্ষোভ দেখান। শাহিনবাগ থেকে আন্দোলন সরানোর জন্য দুই প্রবীণ আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে, সাধনা রামাচন্দ্রন এবং প্রাক্তন চিফ ইনফরমেশন কমিশনার ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here