নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহঃ
ভাগাড়ের স্থায়ী কোন সমস্যার সমাধান না করেই ইংরেজবাজার পুরসভা থেকে নীল, সবুজ রংয়ের বালতি পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পুরএলাকার প্রতিটি বাড়িতে। সবুজ বালতিতে পচনশীল এবং নীল বালতিতে অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহ করবেন প্রতিটি বাড়ির সদস্যরা। পরে পুরসভার সাফাইকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৃথক পৃথকভাবে সংগ্রহ করবেন ওইসব বর্জ্য পদার্থ।
এই কর্মসূচি খুব তাড়াতাড়ি শুরু হতে চলেছে ইংরেজবাজার পুরএলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার দুই হাজার বালতি পুরসভাকে দিয়েও দিয়েছে। সংখ্যায় অত্যন্ত কম হওয়ায় তা এখনই বিলি করা হবে না। কিন্তু দীর্ঘ দিনের দাবি সত্ত্বেও এখনও ভাগাড় সমস্যার সমাধান হয়নি। ভাগাড়ের জন্য জমি কেনা হলেও সেই জমিতে সঠিক পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি। ভাগাড়ের দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যে সাফাই দফতরের পক্ষে পরিকাঠামোর সমস্যা নিয়ে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে ইংরেজবাজার পুরসভার প্রশাসকের কাছে।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ইংরেজবাজার পুর এলাকা থেকে ২০০ মেট্রিক টন বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ হয়। চন্দন পার্ক এলাকার গর্তে সেই বর্জ্য ফেলা হত অস্থায়ী ভাগাড় হিসাবে। কিন্তু সেই গর্ত ভর্তি হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। গত কয়েকবছর ধরে শহরের বর্জ্য পদার্থ নীচু এলাকায় ফেলতে শুরু করে পুরকর্তৃপক্ষ। একের পর এক জলাশয় থেকে নীচু এলাকা ভরতে থাকে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বর্জ্য ফেলতে গিয়ে সব জায়গা থেকেই বাধার মুখ পড়ে পুরসভা।
আরও পড়ুনঃ স্থানীয় ক্লাবের উদ্যোগে মাদারিহাটে সাফাই অভিযান
সমস্যা সমাধানে সুস্থানি মোড় থেকে মহদিপুরের দিকে একটি জমি কিনেছিল পুরসভা। জমিটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায়। সেখানে বর্জ্য পদার্থ ফেলতে গেলে বাধা দেয় বিএসএফ। কারণ, ওই ভাগাড়ের খুব কাছেই বিএসএফের ক্যাম্প। এই নিয়ে পুরসভা, মালদহ জেলা প্রশাসন এবং বিএসএফ কর্তৃপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হলেও কোন সমাধান হয়নি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584