উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
সোমবার সকালে শিলিগুড়ির রতন শীলের মৃত্যু হলেও, সরকারি গেরোয় তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত না হওয়ায় শেষকৃত্য করা যায়নি। দেহে পচন ধরেছে বলে খবর। কার্যত বিনা চিকিৎসায় এসএসকেএম হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ২৭শে জানুয়ারি থেকে পড়ে থেকে থেকে সোমবার অর্থাৎ ১লা ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭ টায় মৃত্যু হয়েছে শিলিগুড়ির ভক্তিনগরের বাসিন্দার। এবার পুলিশের জন্য ভোগান্তি। সামান্য একটা মেলের রিপ্লাই না দেওয়ায় মর্গে পচন ধরেছে রতন শীলের দেহে।
রতন শীল ছিলেন পেশায় রং মিস্ত্রী। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৩৮ বছর। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বটে। তবে সবটাই সার, শেষরক্ষা হল না। টানা ৬ দিন বিনা চিকিৎসায় পড়ে ছিলেন রোগী। অবশেষে সোমবার সকালে যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মৃত্যু হয় শিলিগুড়ির রতন শীলের। এরপর কেটে গিয়েছে প্রায় ২৭ ঘন্টা। ময়নাতদন্তের পর এখনও দেহ পায়নি পরিবার। হাসপাতালের পর এবার কাঠগড়ায় পুলিশ। গতকাল বিকেল ৩ টেয় ময়নাতদন্ত শেষ হয়। সাড়ে ৩ টেয় চিকিৎসকের দেওয়া কাগজপত্র নিয়ে ভবানীপুর থানায় আসে রতন শীলের পরিবার। কিন্তু কেস যে ভক্তিনগর থানার। তাই নিয়মমাফিক সেই থানার আইসিকে ই-মেল করে ক্লিয়ারেন্স চেয়ে পাঠান ভবানীপুর থানার ডিউটি অফিসার।
আরও পড়ুনঃ চন্দ্রকোনা রোডে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার,চাঞ্চল্য
বিকেল ৪ টেয় সেই মেইল গিয়েছে। কিন্তু রাত ১১ টা পর্যন্ত সামান্য একটা ‘ওকে’ লিখেও রিপ্লাই দেওয়ার সময় পাননি ভক্তিনগর থানার আইসি বা এই কেসের তদন্তকারী অফিসার। তাঁকে বারবার ফোন করা হলে তিনি কেটে দিয়েছেন। একবার ফোন ধরেছিলেন। জানিয়েছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ডিউটিতে আছেন। এখন এসব কেসে মাথা ঘামাতে পারবেন না। তাই শীল পরিবারের আরও একটা রাত কেটেছে এসএসকেএম হাসপাতালেই। ইতিমধ্যে দেহে পচন ধরতে শুরু করেছে। মর্গে চাদর মোড়া অবস্থায় পড়ে আছে রতন শীলের নিথর দেহ।
ভক্তিনগর থানার আইসি বদলি হয়ে গিয়েছে। তাই সেই তরফ থেকে কেন এই কাজ হল না, তা নিয়ে জবাব খুঁজছে এলাকার মানুষ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584