নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
যৌন অভিপ্রায়ের সঙ্গে ত্বক থেকে ত্বকের সংযোগ না ঘটলে সেই ঘটনাকে যৌন নির্যাতন হিসেবে গণ্য করা যায় না, এক নাবালিকা ধর্ষণের মামলায় এমনটাই বলেছে বম্বে হাইকোর্ট।

শুধুমাত্র যৌন অভিপ্রায় নয়, হতে হবে ত্বক থেকে ত্বকের সংযোগ; তবেই তা যৌন নিপীড়নের ঘটনা বলে বিবেচিত হবে। এমনটাই রায় দিল বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় এমনটাই জানালো আদালত।
যৌন নিপীড়ন হিসাবে বিবেচিত হওয়ার জন্য “যৌন অভিপ্রায়ের সঙ্গে ত্বক থেকে ত্বকে সংযোগের ঘটনাও থাকতে হবে ।“ এই রায়ে আরও বলা হয়েছে যে ‘নিছক অনুভূতি’ বা সম্মতি ছাড়াই আচমকা স্পর্শ অনুভূত হওয়াকে যৌন নির্যাতনের শিকার বলা যাবে না।
এই মামলায় অভিযুক্ত, পেয়ারা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে, মেয়েটির মা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মেয়েকে কাঁদতে দেখেন। মেয়েটি মায়ের কাছে পুরো ঘটনাটি বর্ণনা করে। মহিলা তখন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন।
আরও পড়ুনঃ প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজধানীতে কৃষকদের ট্রাক্টর র্যালিতে ছাড় দিল্লি পুলিশের
এই মামলার রায় দিতে গিয়ে আদালত আরও বলে যে, শুধুমাত্র নাবালিকার বুক স্পর্শ করলে সেই ঘটনা যৌন নির্যাতন হিসাবে গণ্য হবে না, যতক্ষণ না অভিযুক্ত তার পোশাক সরিয়ে বা পোশাকের ভিতরে হাত নিয়ে গিয়ে শারীরিক সংযোগ ঘটাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ এশিয়ার ‘মাদকসম্রাট’কে গ্রেফতার করল নেদারল্যান্ডস পুলিশ
বিচারপতি পুষ্প গণেদিওয়ালার নেতৃত্বে একক বিচারপতির বেঞ্চ ওই রায়ে একজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। পকসো আইনের আওতায় যৌন নিপীড়নের মধ্যে যৌন অভিপ্রায় নিয়ে আক্রমণ করা এবং শিশুর ব্যক্তিগত অঙ্গ স্পর্শ করা বা শিশুকে অভিযুক্তের ব্যক্তিগত অঙ্গে স্পর্শ করানোর মাধ্যমে শারীরিক সম্পর্কে জড়িত থাকার বিষয়টি শুনানিতে উল্লেখ করেন বিচারপতি।
এই মামলায় অভিযুক্ত নাবালিকার ঊর্ধ্বাংশের পোশাক সরিয়ে তার স্তনমর্দন করে। এক্ষেত্রে কোনো ‘শারীরিক সম্পর্ক’ নেই অর্থাৎ, যৌন-অনুপ্রবেশ ছাড়াই যৌন অভিপ্রায়ে ত্বক থেকে ত্বকে সংযোগ।
বিচারপতি বলেন, “১২ বছরের নাবালিকার স্তনমর্দনের কাজটি তার ঊর্ধ্বাংশের পোশাক সরিয়ে হয়েছে কিনা, বা অভিযুক্ত পোশাকের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে করেছে কি না, তার সুনির্দিষ্ট বিবরণের অভাবে ‘যৌন নির্যাতন’ -এর সংজ্ঞায় বিবেচনা করা যায় না। তবে,এটা অবশ্যই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ অনুচ্ছেদে বিচারাধীন হবে, যা একজন মহিলার শালীনতার পক্ষে হানিকর।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584