পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ

তালপাতা দিয়ে ঘেরা, মাটি ও বাঁশ দিয়ে বানানো ছোট্ট ছোট্ট বাউলের আখড়া। মাটির ওপর আঁকা বিভিন্ন বাউল শিল্পীর ছবি।দেখলে মনে হবে কোনো বাংলা সিনেমার শুটিং চলছে।ভেতরে ঢুকলে আপনার মনে হবে জয়দেব মেলার আগেই যেন পৌঁছে গেছি জয়দেব মেলায়।অগ্রায়ন মাসে নয়, পৌষ মাসে এখানে হয় নবান্ন উৎসব।আর এই নবান্ন উৎসবকে ঘিরে পাঁচ দিনব্যাপী চলে বাউল গানের আসর।ভোর বেলা থেকে শুরু হয় বাউল গান বাউল গান,চলে রাত বারোটা পর্যন্ত।ভিড় জমান এখানে দেশ বিদেশ থেকে আসা বিভিন্ন বাউল প্রেমী পর্যটকেরা ও বাউলেরা।একদিকে বাউল গান অন্যদিকে মা অন্নপূর্ণার প্রসাদ বিতরণ।প্রসাদ গ্রহণেও অংশগ্রহণ করেন কয়েক হাজার বাউল প্রেমী মানুষ, সঙ্গে অংশ নেন গ্রামের কচিকাঁচারা।বীরভূমের বাউল এর নাম বিশ্বজোড়া,আর এই বাউল গানের টানেই শুধু বীরভূম নয় দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তের বাউল প্রেমী মানুষ পঁআচ দিনের জন্য উপস্থিত হয় এই বাউলের আখড়াই। অস্ট্রেলিয়া,বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান থেকে এখানে বাউল শুনতে আসে বিভিন্ন মানুষ। আর এই নবান্ন উৎসব ঘিরে তৈরি হওয়া বাউলের আখড়ায় আসার আরও এক কারণ রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।উচ্চস্বরে নয়,লাইটের ঝকমকে আলোতে নয়। কোনরকম সাউন্ড সিস্টেম ও বৈদ্যুতিক আলো ছাড়াই চাঁদের আলোতে খোলা আকাশের নীচে হয় এই বাউল গান।উত্তরাখান্ড থেকে আসা শ্রেয়া বানখেব ও অনাহীতা বানখেব জানান এই বছর এখানেই প্রথম এসেছি পরের বস আসার চেষ্টা করব। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে শুধু আমি নয় আমার বন্ধুদেরও আনার চেষ্টা করব। উত্তরাখন্ড থেকে আমরা শুধুমাত্র এসেছি এখানকার বাউল শোনার জন্য।শুনেছি এখানকার বাউল খুব প্রসিদ্ধি এবং দেশ বিদেশ থেকে বাউল গান করতে আসে এখানে।অনেক কিছু শিখতে পারা যায় এখানে এসে।এক বাউলের মতে বীরভূমের প্রসিদ্ধ জয়দেব মেলাতো আছেই পাশাপাশি বাউল গানের এই ছোট্ট আসর ও কোন অংশে কম নয়।এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এখানে আসছি যতদিন বেঁচে থাকব ততোদিন আসবো।
আরও পড়ুন: মদ বন্ধ করে,গ্রন্থাগার চেয়ে কুড়মি সমাজের স্মারকলিপি
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584