নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
প্রয়াত কলকাতার পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টারের প্রাক্তন অধিকর্তা ডঃ অমলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। ২২ জুন, সোমবার রাত আটটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন ডঃ অমলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সেক্রেটারি ডঃ রাধাকান্ত কোনার বলেন, “ডঃ অমলেন্দু বন্দোপাধ্যায়ের মৃত্যু দেশের বিজ্ঞান আন্দোলনের এবং বিশেষত বাংলার জন্য এক বিরাট ক্ষতি।”

উল্লেখ্য, দেশে অপেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন ডঃ অমলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। জ্যোতিষশাস্ত্রের স্বরূপ উদঘাটন করে জ্যোতির্বিদ্যাকে যুক্তিনিষ্ঠ করার ক্ষেত্রে তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টাকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে বেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি। জ্যোতিষশাস্ত্র যে কতটা ভ্রান্ত সে বিষয়ে তাঁর ক্ষুরধার বক্তব্য সাধারণ মানুষকে যুক্তির দ্বারা পরিচালিত হতে সাহায্য করেছে।
আরও পড়ুনঃ রথের দিন এসি গাড়িতে চড়লেন জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরাম
তিনি জ্যোতির্বিদ্যার প্রসারে অসংখ্য কর্মসূচী সম্পন্ন করেছেন, যা জ্যোতিষশাস্ত্রের পরিবর্তে জ্যোতির্বিদ্যার দিকে মানুষকে আকর্ষিত করেছে। স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীগুলির দ্বারা, বিশেষত মানুষের কুসংস্কারের উপর ভিত্তি করে চলা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির কঠোর বিরোধিতার মুখে দাঁড়িয়েও মানুষকে কুসংস্কারমুক্ত করার প্রশ্নে তিনি কখনই আপোস করেননি এবং উন্নত উপলব্ধির ভিত্তিতে জীবনভর সংগ্রাম করে গিয়েছেন।
ডঃ রাধাকান্ত কোনার বলেন, “ডঃ অমলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিজ্ঞান আন্দোলনের একজন সাহসী যোদ্ধাকে হারিয়েছি। দেশের বিজ্ঞান-প্রেমী মানুষ তাঁকে স্মরণ করবে, এবং তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারে উদ্যোগী হবে। আমরা তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমাদের আন্তরিক সহানুভূতি ও শোক প্রকাশ করছি।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584