শ্যামল রায়,নদীয়াঃ
নদীয়া জেলার রানাঘাট চূর্ণী নদীর উপরে রয়েছে একটি সেতু।সেই সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন বিভিন্ন এলাকার যাত্রীসাধারণ।
কিন্তু সেতুতে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়ছেন পথচারীরা।
রানাঘাট শহর রানাঘাট ১ ব্লকের বহু মানুষ এই সেতুর উপর নির্ভরশীল কিন্তু সেতুর ফুটপাত ভগ্ন দশায় পরিণত প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোন সমস্যা সমাধান এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি।
চূর্ণী নদীর পূর্ব পাড়ে হয়েছে রানাঘাট শহর,অন্যদিকে নদীর পশ্চিম পাড়ে রয়েছে রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের অধীনে থাকা রামনগর আইসতলা সন্ন্যাসী বাজার তারাপুর সহ বিভিন্ন এলাকা।
আরও পড়ুনঃ দিনের আলোয় জ্বলছে পথবাতি, নির্লিপ্ত বিদ্যুৎ দফতর
প্রায় নয় মাস ধরে ঝুলন্ত সেতুটি সংস্কার কাজ চলছে যদিও দিনে এই ঝুলন্ত সেতু সংলগ্ন পাল চৌধুরী স্কুল ঘাটে নৌকা পারাপারের ব্যবস্থা রয়েছে তবে রাতে নদীর পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দাদের রানাঘাট শহর মহকুমা হাসপাতাল রানাঘাট থানায় আসতে গেলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়েই এই সেতুটি দিয়ে আসতে হয় তাই সেতুর উপরে কোন রকম আলোর ব্যবস্থা না থাকায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের।
ফুটপাত ও ভগ্নদশা, এই অবস্থায় পড়ে রয়েছে তাই অনেকেই ঝুঁকি নিয়েই ফুটপাত দিয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে।
পথচারীদের দাবি বড় আলোকে স্তম্ভের সাহায্যে আলোর ব্যবস্থা করা হোক রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামত করে সেতুটি ভালো জায়গায় ফিরিয়ে আনা হোক।
রানাঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন এই আলোর স্তম্ভ মূলত রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পূর্ত দফতরের অধীনে রয়েছে।যদিও পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে রানাঘাট পৌরসভার উদ্যোগে লাগানো আলোর স্তম্ভ গুলি কখনো রক্ষণাবেক্ষণ দায়িত্ব তাদের নয়।এদিকে সমস্যা বাড়ছে সাধারণ মানুষের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584