শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
‘একটা রিপোর্ট দিতে রাজ্যের কতদিন সময় লাগতে পারে?’ সোমবার রাজ্যকে এই ভাষাতেই ভর্ৎসনা করল হাইকোর্ট। সোমবার এই সংক্রান্ত অনলাইন মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃষ্ণণ ও বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানিতে রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেন।
২০ মে রাজ্যে আমফান ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পরে ৪ মাস কেটে গিয়েছে। প্রথম বার আমফান ত্রাণে দুর্নীতির অভিযোগ আসায় দ্বিতীয় বার ফের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও এখনও ১০ লক্ষের বেশি মানুষ এখনও ত্রাণ পাননি। কত জনকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে আর কত জন পাননি, তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়ার পরেও এখনও সেই রিপোর্ট দেয়নি রাজ্য।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বভারতী কাণ্ডে চাই সিবিআই তদন্ত! মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে
এদিন হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমফানের ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ বন্টন নিয়ে রাজ্যের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট ও হলফনামা দিতে হবে। এখন পর্যন্ত কত জন মানুষ আমফানের ক্ষতিপূরণ পেয়েছে, আর কত জন বাকি, রাজ্যের ওয়েবসাইটের পাবলিক ডোমেনে তা প্রকাশ করতে হবে। কারণ রাজ্যের সাধারম মানুষের তা জানার অধিকার রয়েছে।আবেদন সত্বেও যারা এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি তাদের তালিকাও প্রকাশ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ কবিগুরুকে বহিরাগত তকমা উপাচার্যের, প্রতিবাদে ‘ঐক্য বাংলা’
সোমবার মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী শমীক বাগচী এবং নুর ইসলাম শেখ আদালতে বলেন, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষেরও মত মানুষ আমফানের ক্ষতিপূরণ পাননি। তবে এদিন রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে ফের সময় চাইলে ক্ষুব্ধ হয় আদালত।
ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য করে,‘ একটা রিপোর্ট দিতে রাজ্যের কত সময় লাগতে পারে! দিনের পর দিন সময় নিয়ে যাচ্ছেন তার পরেও রিপোর্ট জমা পড়ছে না।‘ এর পরেই এক সপ্তাহের সময়সীমা দেয় আদালত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584