নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা:
টিজিটি স্কেল অনুযায়ী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষকদের বেসিক পে’র পার্থক্য হওয়ার কথা ২৭০০ টাকা, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তা ৯২০০ টাকা। এই বৈষম্য মেটানোর দাবিতে করা কন্টেম্পট মামলায় বড় সাফল্য পেল স্নাতক শিক্ষকরা। বঞ্চনার অভিযোগ তুলে স্নাতক শিক্ষকদের সংগঠন বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার্স এসোসিয়েশন (বিজিটিএ) টিজিটি স্কেলের দাবিতে রাস্তায় নেমে গণ আন্দোলনের পাশাপাশি হাই কোর্টে একাধিক মামলা করে।
গত ২ রা মার্চ ডিভিশন বেঞ্চে ১৪ দিনের সময় দেয় পে-কমিশনকে এফিডেভিট সহ কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা করতে।
গত বছর ২২শে জুলাই বিজিটিএর করা মূল মামলায় মহামান্য হাই কোর্ট গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের বঞ্চনা মিটিয়ে সর্বভারতীয় বেতন কাঠামোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে বেতন কাঠামো তৈরির নির্দেশ দেয়। সংগঠনের দাবি দুর্ভাগ্যবশত সেই রায়কে উপেক্ষা করে সরকার পে কমিশন ঘোষণা করে ।পরে বিজিটিএ’র তরফে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির তীব্র ভর্ৎসনার শিকার হয়ে সরকার পক্ষ ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে। করোনা আবহে কোর্ট বন্ধ থাকায় এতদিন শুনানি সম্ভব হয়নি। পরে মহামান্য হাই কোর্ট ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শুনানির জন্য এই মামলা নির্বাচিত করে। আজ সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয় যে আগামী ১৪ দিনের মধ্যে হলফনামা সহ রিপোর্ট জমা করতে হবে এবং আর কোনো বর্ধিত সময় দেয়া হবে না।এই রায় কার্যকরী হলে প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার স্নাতক স্কেলে বেতন পাওয়া শিক্ষক উপকৃত হবেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:সহবাসের মামলায় রাজ্য বিজেপি পর্যবেক্ষক শিবপ্রকাশকে তলব কলকাতা পুলিশের
বিজিটিএর সাধারণ সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, ” কোর্টের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। টিজিটি স্কেল আমাদের আইন স্বীকৃত অধিকার।জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা”। অন্যদিকে বিজিটিএ’র রাজ্য সভাপতি ধ্রুবপদ ঘোষাল জানান, ” সরকার যদি এই রায়কে মান্যতা না দেয় তাহলে আমরা আমরণ অনশন করেও আমাদের অধিকার অর্জন করবো”।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584