শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
দিন কয়েক আগে আরজিকর হাসপাতাল থেকে আচমকাই উধাও হয়ে গিয়েছিল সদ্যোজাত। এবার
আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ সদ্যোজাতের ডিএনএ রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ কলকাতা সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবের কাছ থেকে ওই রিপোর্ট তলব করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেন জনৈক বাবান মণ্ডলের স্ত্রী দেবযাণী মণ্ডল। তার পরের দিনই সদ্যোজাতের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় তাকে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। এর মধ্যে ১০ দিন শিশুটির মায়ের সঙ্গে শিশুটিকে দেখা করতে দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুনঃ নারদাকাণ্ডে ৯ তৃণমূল নেতা সহ ১১ জনকে নোটিশ ইডির, বাদ শোভন চট্টোপাধ্যায়
অভিযোগ, গত ২৫ জুন সদ্যোজাতর মাকে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, ১০ দিন আগে তার সন্তান মারা গিয়েছে। এর পাশাপাশি মর্গ থেকে একটি পচা গলা দেহ এনেও তাঁকে দেখানো হয়। কিন্তু এর মধ্যে মৃত শিশুর মা প্রত্যেকদিন হাসপাতালে এসে তাকে বুকের দুধ দিয়ে গিয়েছেন। তাহলে সেই দুধ কে পেল, সে নিয়েও প্রশ্ন পরিবারের।
আরও পড়ুনঃ কোষাগারে অর্থাভাব! মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন-পিজিটিদের বেতন বন্ধের নোটিশ
শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, শিশুটি পাচার হয়ে গিয়েছে। তাই চন্দননগরের মণ্ডল দম্পতি ওই মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়। এই চিঠির জবাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ না করায় অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বাবান মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী। আর তাঁদের অভিযোগ শোনার পর হাসপাতালের যাবতীয় নথি তলব করে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, এই ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়, রাজ্য সরকারের বক্তব্য, শিশুটির মৃত্যুর পরই ফোনে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, ফোনে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে রাজ্য সরকারের এই বক্তব্য সন্তুষ্ট নয় আদালত। অন্য কোন মাধ্যমে পরিবারকে বিষয়টি জানানো যেতে পারত বলে মত হাইকোর্টের। তাই হলফনামা আকারে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584