নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি কলকাতা হাইকোর্টের। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে চাকরি প্রার্থীদের একাংশের দায়ের করা মামলায় এই স্থগিতাদেশ। গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে ১৬ হাজার ৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই ১০ থেকে ১৭ জানুয়ারি চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ এবং পরবর্তীতে প্রশিক্ষণ নেন তাঁদের কাছেও আবেদনপত্র চাওয়া হয়।
পর্ষদ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৬ হাজার ৫০০ আবেদন করেন। এনসিটিই-র বিধি মেনে যাঁরা প্রশিক্ষিত তাঁদের নথি যাচাই করা হয়। তারপর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার পর মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়, ১৬ হাজার ৫০০ শূণ্য পদের মধ্যে ১৫ হাজার ২৮৪ জনের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়। ফাঁকা রাখা হয় ১ হাজার ২১৬টি পদ।
আরও পড়ুনঃ সরস্বতী পুজোয় চটুল নাচ, পাঁচজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের
মামলাকারীদের অভিযোগ, বেআইনিভাবে নিয়োগ চলছে। কোন মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। মামলাকারীদের এই আবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট। চার সপ্তাহ পর ফের মামলার শুনানি। এদিকে ৩১ জানুয়ারি আরও একটি টেট পরীক্ষা নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই পরীক্ষার ফল কবে প্রকাশ তা স্পষ্ট নয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584