কোষাগারে অর্থাভাব! মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন-পিজিটিদের বেতন বন্ধের নোটিশ

0
84

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

প্রথম দিকে করোনা প্রতিরোধে সুরক্ষা সরঞ্জামের দাবিতে এবং সম্প্রতি করোনা চিকিৎসার সঙ্গে অন্যান্য চিকিৎসা শুরু করার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা। তাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দাবি না মানায় ঘেরাও হয়ে যান দুই স্বাস্থ্যকর্তাও। পরে চাপের মুখে সরকার সেই দাবি মেনে নিলেও সরকার যে তা ভাল চোখে দেখছে না, তার নমুনা মিলল মঙ্গলবার সকালে।

Medical college | newsfront.co
ফাইল চিত্র

এ দিন সকালে বেতন বন্ধের নোটিশ পড়ল কলকাতা মেডিকেল কলেজে। বেতন দেওয়া হবে না মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন, পিজিটি-দের, এই মর্মে নোটিস টাঙাল কর্তৃপক্ষ। নোটিস ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। নতুন করে ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে।

মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, তহবিলে টাকা নেই। টাকা এলে বেতন দেওয়া হবে। যদিও কর্তৃপক্ষের এই দাবি মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, আন্দোলন বন্ধ করার জন্যই একাজ করেছে কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দু’পক্ষই যে যার নিজের অবস্থান অটল। শুরু হয়ে গিয়েছে স্নায়ু যুদ্ধ।

আরও পড়ুনঃ লকডাউনের জেরে কলকাতায় প্রথম বন্ধ হল পাঁচতারা হোটেল

প্রসঙ্গত, কোভিড হাসপাতাল হিসেবে চিহ্নিত কলকাতা মেডিকেল কলেজে অন্যান্য চিকিৎসাও শুরু হোক। এই দাবিতে ১ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জরুরি বিভাগের সামনে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। হাসপাতালে ডাক্তারদের বিক্ষোভের জেরে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার সমস্যার সমাধান করতে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে যান স্বাস্থ্য দফতরের ২ অধিকর্তা। কিন্তু কথা বলতে গিয়ে কলেজ অধ্যক্ষের ঘরে ঘেরাও হয়ে যান তাঁরা। পরে দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে ঘেরাও ওঠে।

আরও পড়ুনঃ সংক্রমণ রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া, পশ্চিমবঙ্গে কমছে ট্রেনের সংখ্যা

বিক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, আন্দোলন বন্ধ করার জন্যই এই নোটিস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রেসিডেন্টস ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অর্চিষ্মান ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘স্বাস্থ্যভবন থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল আমাদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখা হবে। এমনকি ডা. প্লাবন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি ৮ সদস্যের কমিটি তৈরি করে আমাদের সঙ্গে কথা বলার বিষয়েও জানানো হয়েছিল। কিন্ত কেউ আসেননি। কেউ দেখা করেননি।’

তবে এই অবস্থা চলতে থাকলে আরো বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, ‘এই আন্দোলন সম্পূর্ণ রূপে জুনিয়র ডাক্তারদের। আমি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here