শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
করোনা মুক্তির পরেও ফের করোনা আক্রান্তের ঘটনায় রীতিমত উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যকর্তারা। তাই করোনা আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার আগে সি-টি ভ্যালু পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু করতে চলেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ।
এই পদ্ধতিতে রোগীদের শরীরে ভাইরাল লোড অর্থাৎ ভাইরাসের উপস্থিতির মাত্রা কতটা তা পরিমাপ করে পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতি চালু করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে স্বাস্থ্যভবন। এমনটাই জানালেন মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নির্মল মাজি।
প্রসঙ্গত, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সাহা হোসেন বারির শরীরে দ্বিতীয়বার করোনা সংক্রমণ হয়েছে। একবার সুস্থ হয়ে উঠেও এখন ফের চিকিৎসাধীন তিনি। আরও এক রোগীর সন্ধান মিলেছে বলে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর।
আরও পড়ুনঃ করোনা চিকিৎসায় ইসিএমও-র সাহায্যে সুস্থ হলেন ১৩১ কেজি ওজনের যুবক
দক্ষিণবঙ্গে এই ঘটনা প্রথম হলেও এর আগে উত্তরবঙ্গেও বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হয়ে সম্পূর্ণ করোনা মুক্তির পর ফের করোনা সংক্রমণের ঘটনা নজরে আসে স্বাস্থ্য ভবনের। তাই সঠিক সময় ভাইরাসের পরিমাণ দেখে রোগীকে চিহ্নিত না করলে রোগী দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
সেই কারণে সেভ হোমে থাকা উপসর্গহীন আক্রান্তদের সঙ্গে এবার কলকাতা মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বার করে আক্রান্তদের ঘটনাতেও এই পদ্ধতির প্রয়োগ করা হতে পারে। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য ভবনের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন খোদ মেডিকেল কলেজের সুপারই।
আরও পড়ুনঃ এবার ১০০ ফুট দূর থেকেও জল ছুঁড়ে আগুন নেভাবে দমকলের ৪ রোবট
এ প্রসঙ্গে নির্মল মাঝি বলেন, “আমরা ভাইরাল লোড চিহ্নিত করে চিকিৎসা করতে চাইছি। ইতিমধ্যেই সিটি ভ্যালু পদ্ধতিতে চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্যভবনে বিশেষজ্ঞ কমিটি চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন।” হাসপাতাল সূত্রে খবর, কোনও করোনা আক্রান্ত সেখানে ভর্তি হলে প্রথমে পরীক্ষা করে দেখা হবে, তার শরীরে ভাইরাসের পরিমাণ ঠিক কতটা। এরপর অবস্থা বুঝে চিকিৎসা করা হবে। জানা গিয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যেই এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু হবে কলকাতা মেডিক্যালে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584