একদিনেই অনার্সের দুটি পেপারের পরীক্ষা, অখুশি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা

0
48

মোহনা বিশ্বাস, কলকাতাঃ

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে একইদিনে অনার্সের দুটি পেপারেরে পরীক্ষা থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে পড়ুয়ারা। করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনেই পরীক্ষা নিচ্ছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। গত বুধবার আসন্ন সেমিস্টারের অনলাইন পরীক্ষার নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়। এদিন মধ্যরাতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত পরীক্ষাসূচী অনুযায়ী, চূড়ান্ত সেমিস্টারের থিয়োরেটিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া হবে ২৯ এবং ৩০ জুলাই। ওই দু’দিনই হবে দু’টি করে পত্রের পরীক্ষা।

Calcutta University | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

অন্যদিকে, দ্বিতীয় সেমিস্টারের ক্ষেত্রে ১২ অগাস্ট একই দিনে দুটি পত্রের পরীক্ষা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টায় একটি পত্র। তারপর আবার দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দ্বিতীয় পত্রটির পরীক্ষা হবে। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। একই দিনে অনার্সের দুটি পেপারের পরীক্ষা নিয়ে ক্ষোভ প্রকশ করেছে পড়ুয়ারা।

এদিকে, সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) আশিস চট্টোপাধ্যায় জানান, অনলাইন পরীক্ষা শুরুর পরে দিনে দুইটি পত্রের পরীক্ষা আগেও হয়েছে। এমনকি তিনটি পত্রের পরীক্ষাও নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘৩১ অগাস্টের মধ্যে ফল প্রকাশ করতেই হবে। এই বিষয়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তিও বেরিয়ে গিয়েছে। তাই এখন আর পরীক্ষার দিন বদলানো সম্ভব নয়।’

আরও পড়ুনঃ রাজ্যের আবেদনে সাড়া রেলের, স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠতে পারবে জয়েন্ট পরিক্ষার্থীরা

এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। তাঁরা জানান, অনার্সের পাঠক্রম অনেক বড়। আর পরীক্ষা দেওয়াও বেশ পরিশ্রমের ব্যাপার। অনলাইনে পরীক্ষা হলেও অনার্স পেপারে কলাবিভাগের বিষয়গুলিতে অন্তত ২৫-৩০ পাতা করে লেখেন অনেকেই। অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রেও প্রায় সেরকমই। একই দিনে দু’টি পরীক্ষা হলে তা শারীরিকভাবে কষ্টদায়ক হবে বলে মত পড়ুয়াদের। অনার্সের পরীক্ষা নিয়ে যে ক্ষোভ পড়ুয়ারা প্রকাশ করেছে, সেটিকে কেউ কেউ #change_the_schedule_cu হ্যাশট্যাগে পোস্ট করছেন।

আরও পড়ুনঃ আগামী ২০ জুলাই, মঙ্গলবার প্রকাশিত হতে চলেছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল

অনেক পড়ুয়া জানাচ্ছেন, তাঁদের মোবাইল পুরনো। দীর্ঘক্ষণ টানা ব্যবহার করলে কয়েক ঘণ্টায় চার্জ শেষ হয়ে যায়। একই দিনে দুটি পরীক্ষা হলে, সেক্ষেত্রে তাঁরা কী করবেন? প্রশ্ন করছেন পরীক্ষার্থীরা। দেখা যাচ্ছে ওই ধরণের পরীক্ষার্থীদের বেশিরভাগই প্রাক্তনী। তাঁদের মতে, ৫০ বা ৬৫ নম্বর করে এক-একটি পেপারের পরীক্ষা। তাই তুলনামূলকভাবে কম লিখতে হবে। ফলে একদিনে দুটি পরীক্ষা দেওয়াই যায়। মোট নম্বর কম হলেও একই দিনে দুটি পরীক্ষা দেওয়া বেশ কঠিন, মেনে নিচ্ছেন অধ্যাপকদের একাংশও। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিষয়টি পোস্ট করেছেন এক অধ্যাপিকা।

বৃহস্পতিবার এইসব সমস্যার সমাধান চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয় ডিএসও এবং ‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস ইউনিটি’। পরীক্ষার্থীদের সমস্যার বিষয়গুলি তুলে ধরেন তাঁরা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here