নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
প্রাত:ভ্রমণে বেরিয়ে অটোর নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ধানবাদ আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক উত্তম আনন্দের। তদন্তে নেমে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আঁচ পায় এটি সাধারণ দুর্ঘটনা নয়, ইচ্ছাকৃত ভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই ধাক্কা দেওয়া হয় বিচারককে। তিনি পড়ে গেলে অটোর নীচে চাপা দেওয়া হয় তাঁকে যার ফলে মৃত্যু হয় বিচারকের। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা গ্রহণ করে সুপ্রীম কোর্ট।
এই মামলার শুনানিতে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমান্না। তিনি বলেন, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনও মামলার রায় মনঃপুত না হলে, তার জন্য বিচারপতিদের হেনস্থা করা হয়। অথচ তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে গোয়েন্দারা কর্ণপাত করেন না। অর্থাৎ বিচারপতিদের অভিযোগ জানানোর কোনো জায়গা নেই।
ধানবাদের বিচারকের মৃত্যুর তদন্তে জানা গিয়েছে, এক গ্যাংস্টারের জামিনের মামলা, একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিগ্রহের মামলা, ভুয়ো লটারির টিকিট বিক্রি, স্কলারশিপ দুর্নীতি-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি করছিলেন তিনি। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই), আইবি এমনকি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রমান্না।
আরও পড়ুনঃ ফল প্রকাশিত জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন-এর, ১০০ পারসেন্টাইল ১৭ জনের ঝুলিতে
তিনি বলেন, কোন রায় মনঃপুত না হলেই বিচারবিভাগের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলা হয় , প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মামলায় ধারাবাহিকভাবে হেনস্থার মুখে পড়তে হয় বিচারপতিদের। সিবিআই, আইবি, কোনও সংস্থার সহযোগিতা মেলে না। কোনও বিচারপতি এ নিয়ে অভিযোগ করলেও, লাভ হয়না। কোনও সংস্থাই বিচারব্যবস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করে না।”
আরও পড়ুনঃ রিলায়েন্স ও ফিউচার গ্রুপের চুক্তি কার্যকরে ‘না’, সুপ্রীম কোর্টে জয় অ্যামাজনের
দুদিন আগেই ধানবাদের বিচারক উত্তম আনন্দের মৃত্যুর মামলার তদন্তভার গিয়েছে সিবিআই-এর হাতে। যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের বয়ান নথিভুক্ত করেছে তারা। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, বাজেয়াপ্ত করা ঘাতক অটোটি কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে চুরি গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584