শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
গরু পাচার কাণ্ডের পর এবার কয়লা পাচার কাণ্ডে সম্পূর্ণ শক্তিতে ঝাঁপাল সিবিআই। এই পাচারকারীদের সঙ্গে যে আয়কর দফতরের কর্তারা জড়িত রয়েছেন, এমন অভিযোগ আগেই পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। এবার খোঁজ পাওয়া গেল বেশ কিছু ইসিএল কর্মকর্তাদেরও।
আর তার ভিত্তিতেই কয়লা পাচার কাণ্ডে সম্পূর্ণ পৃথক মামলা দায়ের করে পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্ব ভারতের ৪ রাজ্যে ব্যাপকহারে তল্লাশি শুরু করলেন সিবিআই গোয়েন্দারা।কলকাতা পুলিসের দুর্নীতি দমন শাখা (অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চ)- এর অধীনে এই এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সুশাসন শিখুন প্রধানমন্ত্রী, টুইটে পরামর্শ অভিষেকের
সূত্রের খবর, এফআইআর-এ ইসিএল-এর কয়েকজন কর্তার নাম রয়েছে। অভিযুক্তদের তালিকায় অনুপ মাঝি ছাড়াও রয়েছেন ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের ২ জন জেনারেল ম্যানেজার, একজন সিকিউরিটি অফিসার সহ ইসিএল-এর আরও কয়েকজন। পাশাপাশি সিআইএসফ, রেল ও ইসিএল-এর সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ও কয়েকজন ব্যবসায়ীর নামও রয়েছে।
কয়লা পাচার কাণ্ডে এদের প্রত্যেকের ভূমিকাই তদন্ত করে খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। কয়লা পাচার কাণ্ডে লালার খোঁজে এদিন এখনও পর্যন্ত মোট ৪৫টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। কলকাতা সহ সল্টলেক, আসানসোল, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। পাশাপাশি বিহারের রাঁচি, ভাগলপুর, পাটনাতে তল্লাশি চালানো হয়। এছাড়া ঝাড়খণ্ড ও উত্তরপ্রদেশেও তল্লাশি চালান সিবিআই গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুনঃ ২ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে নন সাবার্বান ট্রেন
অভিযুক্তদের তালিকায় অনুপ মাঝি ছাড়াও রয়েছেন ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের ২ জন জেনারেল ম্যানেজার, একজন সিকিউরিটি অফিসার সহ ইসিএল-এর আরও কয়েকজন। পাশাপাশি সিআইএসফ, রেল ও ইসিএল-এর সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ও কয়েকজন ব্যবসায়ীর নামও রয়েছে। কয়লা পাচার কাণ্ডে এদের প্রত্যেকের ভূমিকাই তদন্ত করে খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। এদিকে এদিন ইসিএল-এ সিবিআই-এর তল্লাশি চলাকালীন এক ইসিএল কর্তা অফিসার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার কাণ্ডে লালার খোঁজে এদিন এখনও পর্যন্ত মোট ৪৫টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। কলকাতা সহ সল্টলেক, আসানসোল, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। পাশাপাশি তল্লাশি চালানো হয়েছে বিহারের রাঁচি, ভাগলপুর, পাটনাতেও। এছাড়া ঝাড়খণ্ড ও উত্তরপ্রদেশেও এদিন একযোগে তল্লাশি চালায় সিবিআই। কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালাকে হাতে পেতে মরিয়া সিবিআই। লালার নাগাল পেতে ইতিমধ্যেই বিশেষ দলও গঠন করেছে সিবিআই।
উল্লেখ্য, আয়কর দফতর কলকাতার শেক্সপীয়র সরণিতে লালার অফিসে ও জেলায় তল্লাশি চালানোর পর থেকেই বেপাত্তা। লালার খোঁজে এদিনও পুরুলিয়ার ভামুড়িয়া-নিতুড়িয়াতে লালার বাড়ি, কলকাতার সিআইটি রোডে লালার অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি চলে সল্টলেক সেক্টর ওয়ানের দুটি ঠিকানায়, শেক্সপীয়র সরণির একটি আবাসনে।
আরও পড়ুনঃ গেরুয়া শিবিরে যোগদান করতে দিল্লির উদ্দেশ্যে নিশীথের সাথে মিহির
কিছু নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই সকাল থেকে শুরু হয়েছে এই তল্লাশি অভিযান। কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার বাড়ি এবং অফিস। এমনকী অনুপ মাঝির ঘনিষ্ঠদের বাড়িতেও চলছে সিবিআইয়ের ম্যারাথন তল্লাশি। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআই আধিকারিকদের মোট ২২টি দল তদন্তে বেরিয়েছে। প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন অফিসার তল্লাশিতে নেমেছেন।
ওইআধিকারিকরাই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন।স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের সহযোগিতায় চলছে এই অভিযান। প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার কাণ্ডে প্রথমে তদন্তে নামে আয়কর দফতর। তারা তদন্ত করে যে তথ্যপ্রমাণ বা নথি পেয়েছে সে সব জানতে চেয়ে আয়কর দফতরকে চিঠি দেয় সিবিআই।
সেই ফাইল হাতে আসার পর এবার জোরকদমে তদন্তে নেমেছে সিবিআই–ও।সিবিআই-এর সক্রিয়তা দেখে আন্দাজ করা যায়, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে গরু পাচার এবং কয়লা পাচার কাণ্ড রীতিমতো রাজনৈতিক ইস্যু হতে চলেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584