নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
গরু পাচারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ১৩ টি জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই। রায়পুর, গাজিয়াবাদ, লালগোলা, রঘুনাথগঞ্জ, শিলিগুড়ি, কামদুনি, রাজারহাট, কলকাতার তপসিয়া, সল্টলেক-সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় মূলত তল্লাশি চলছে।

অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন বিএসএফের কয়েকজন কর্তা ও ব্যবসায়ী। কলকাতায় সল্টলেকের সিটি সেন্টার টু-এর পাশে এক বিএসএফের কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের বাড়িতে এই ঘটনার মূল তল্লাশি চলছে।
সতীশকুমার এখন কর্নাটকে পোস্টেড। তবে এক সময় তিনি সীমান্ত এলাকায় কর্মরত ছিলেন, সে সময়েই গরু পাচারের বিভিন্ন চক্রকে তিনি সাহায্য করেছিলেন বলে সিবিআই মনে করছে। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া বেশ কিছু নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তল্লাশির পর বিএসএফ কর্তার বাড়ি সিল করে দিয়েছে সিবিআই।
আরও পড়ুনঃ বউবাজারে রূপান্তরকামীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার পুলিশ অফিসার
গরু পাচার মামলায় এর আগে মুর্শিদাবাদ থেকে ইমানুল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এই ঘটনায় ম্যাথিউ বলে এক বিএসএফ কমান্ড্যান্টকেও গ্রেফতার করে সিবিআই। অভিযোগ ছিল, গরু পাচারে সাহায্য করার জন্য ইমানুল ৪৫.৫ লক্ষ-টাকা দিয়েছিল ওই কমান্ড্যান্টকে। ইমানুল অবশ্য পরে ছাড়া পায়।
আরও পড়ুনঃ জোড়াবাগানে নিজগৃহে অগ্নিদগ্ধ বৃদ্ধা
এই মুহূর্তে আগের ঘটনায় ধরা পড়া ইমানুল হককে আবারও খুঁজছে সিবিআই। তার কাছ থেকে আরও তথ্য মিলতে পারে বলে অনুমান সিবিআইয়ের।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই গরু পাচারকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছে সিবিআই আধিকারিকরা। জেরাও করা হয়েছে বেশ কয়েক জনকে। তারপরই এই তল্লাশি অভিযান শুরু করেন তাঁরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584