নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
রামপুরহাট কান্ডে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বগটুই গ্রামে সিসিটিভি লাগালো প্রশাসন। ভয়াবহ এই ‘হত্যাকান্ডে’ যে কটি বাড়িতে আগুন লাগানো হয়, সেই বাড়িগুলি ও গ্রামের বেশ কিছু জায়গায় সিসিটিভি লাগিয়েছে প্রশাসন। তথ্য প্রমাণ যাতে কোনভাবেই লোপাট করা না যায় সে কারণেই এই নির্দেশ দেয় আদালত। আজ দুপুর ২ টোয় সিটের রিপোর্ট জমা পড়বে আদালতে।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের নারকীয় ‘হত্যাকান্ডে’ ইতিমধ্যেই ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বগটুই কান্ডে উঠে আসছে একের পর এক ভয়ানক তথ্য। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে যে, মৃতদের পরিবারের জীবিত সদস্যরা বলেছেন আগে গ্রিল কেটে মহিলাদের ঘর থেকে বের করে এনে কোপানো হয়। তারপরে ঘরে ঢুকিয়ে জীবন্ত অবস্থাতেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ঘরে ছিল শিশুরাও। তাঁদের অভিযোগ, দমকল বাহিনীকে প্রথমে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে পোঁছতে পারে দমকল, কিন্তু ততোক্ষণে সব শেষ। প্রশ্ন উঠছে কারা দমকলকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দিল? যদিও মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের দাবি, পুলিশের সামনেই ঐদিন তাণ্ডব চালিয়েছিল ভাদু বাহিনী। তাঁদের দাবি সেদিন নির্বাক দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ জ্ঞানবন্ত সিং-এর বিরুদ্ধে মামলা বিচারাধীন, আর তাঁর দায়িত্বেই তদন্ত! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যপালের
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত ৩২ টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে বলে খবর, প্রয়োজনে আরও সিসি ক্যামেরা বসানো হতে পারে। সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চালাবে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ প্রশাসন। ২৪ ঘণ্টা চলবে নজরদারি।
আরও পড়ুনঃ কে এই আলাউদ্দিন যাকে দিয়ে দেওয়া হল মৃতদেহ? সিবিআই তদন্তের দাবি উঠল রামপুরহাট কান্ডে
হাইকোর্ট বুধবারই নির্দেশ দিয়েছে, কেন্দ্র ও রাজ্যের ফরেনসিক টিম একযোগে ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে। ডিজি, আইজিপি, পূর্ব বর্ধমান জেলা জজের পরামর্শে ওখানকার গ্রামবাসী, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনহারাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও আজই বগটুই যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584