পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ ইতিমধ্যেই সরকারি বিদ্যালয় গুলি ছুটির তালা পড়ে গেছে গত কয়েকদিন আগে, কিন্তু ছুটি পড়ে গেছে বলে কি গুরুদেবের জন্মবার্ষিকী পালন হবে না স্কুলে,এ হয় নাকি!বিদ্যালয় কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী পালন নাহলে গুরুদেবের কর্মভূমিকে অসম্মানিত করা হবে।
বৃহস্পতিবার সাঁইথিয়া বিধানসভার বনগ্রাম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা পৌঁছে গেলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮ তম জন্ম জয়ন্তী পালন করতে। গুরুদেবের মূর্তির জন্য মালা, চন্দন, সমস্ত কিছুর আয়োজন করে।
বিদ্যালয় পৌঁছে শিক্ষকরা বেরিয়ে পড়েন ছাত্রদেরকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসার জন্য। সকাল সকাল শিক্ষকদের বাড়িতে দেখে হতবাক হয়ে যায় ছাত্র-ছাত্রীরা।
আরও পড়ুনঃ নৃত্য ছন্দ একাডেমির ঋতু নৃত্যে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপন
কিন্তু গুরুদেবের জন্মদিন পালন হবে বিদ্যালয়ে সে কথা শিক্ষকদের মুখে শোনার পরেই আপ্লুত ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ের পোশাকে ভূষিত হয়ে চলে আসে গুরুদেবের জন্ম জয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানে।মাল্যদান পর্ব শেষ হওয়ার পর বনগ্রাম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক ধনঞ্জয় রায় ও দেবপ্রদীপ ভট্টাচার্য্য গুরুদেবের গান গেয়ে অনুষ্ঠান পর্ব শেষ করেন।
বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শুভেন্দু ভট্টাচার্য জানান, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম জয়ন্তী অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ ও ভূমিকা এককথায় অনবদ্য। বিশ্বভারতী প্রবীণ আশ্রমিক দীপেশ মুখোপাধ্যায় বলেন, সময়ের সাথে সাথে মানুষের মূল্যবোধ অনেকটাই হারিয়ে গেছে, গুরুদেবের জন্মজয়ন্তী নিয়ে মাতামাতি হয় বটে কিন্তু তার মধ্যে শ্রদ্ধার অভাববোধটা প্রকাশ পেয়ে যায়।
খুবই আত্মতৃপ্তি পাই যখন শুনতে পাই গুরুদেবের কর্মভূমির কোন এক প্রত্যন্ত গ্রামে শিক্ষকরা ছুটির দিনেও বিদ্যালয় খুলে ছাত্রদেরকে ডেকে নিয়ে এসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে স্মরণ করে তার জন্ম জয়ন্তী পালন করছে, রবীন্দ্র অনুরাগী হিসেবে খুবই গর্ববোধ হয়। বনগ্রাম বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গুরুদেবের প্রতি শ্রদ্ধা দেখে বোঝা গেল শিক্ষকদের মূল্যবোধ সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584