মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
নির্বাচন কমিশন প্রত্যেক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবস্থা করবেন বলে কোচবিহারের ভোট কর্মীদের আশ্বস্ত করলেন মুকুল রায়।
আজ তিনি কোচবিহার রাসমেলার মাঠে সাংবাদিক বৈঠক করার সময় জানান,তারা নির্বাচন কমিশনের কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের দুই পর্যবেক্ষক (সাধারণ ও পুলিশ) সাথে দেখা করেছেন।তাঁদের প্রত্যেক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার জন্য দাবি জানালে তাঁদেরকে নির্বাচন কমিশনের ওই দুই পর্যবেক্ষক আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান। এরপরেই মুকুল বাবু বলেন, “কোচবিহারের যারা ভোট কর্মী রয়েছেন,তারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যান।প্রত্যেক বুথে নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবস্থা করবেন।”
রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলো প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার থেকে ভোট কর্মীরাও নিজেদের নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেক বুথে ৪ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আন্দোলনে নামে।গতকাল কোচবিহারের বিভিন্ন প্রান্তে সেই আন্দলন চরম আকার নেয়।কোচবিহার শহরের গুঞ্জবাড়ি এলাকায় প্রথম রামভোলা স্কুলে প্রশিক্ষন নিতে আসা ভোট কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পরে তারা রাস্তা অবরোধ করে কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন আশ্বাস না পাওয়ায় সন্ধ্যা নাগাদ ওই ভোট কর্মীরা জেলা শাসকের দফতরে এসে বিক্ষোভ দেখায়।কোচবিহার শহরের পাশাপাশি দিনহাটা,মাথাভাঙ্গা,মেখলিগঞ্জ ও তুফানগঞ্জে একই ভাবে বিক্ষোভ চলতে থাকে। আজও মাথাভাঙায় ভোট কর্মীদের ওই বিক্ষোভ চলছে।ভোট কর্মীরা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী না পেলে ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার থেকে তাঁরা ফিরে যাবেন।এই পরিস্থিতিতে এদিন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের ওই আশ্বাস ভোট কর্মীদের অনেকটাই আশ্বস্ত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ইউনিফর্মহীন পুলিশকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ নিশীথের
কোচবিহার জেলায় আড়াই হাজারের মত বুথ রয়েছে।প্রত্যেক বুথে ৪ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিলে ১০ হাজার অর্থাৎ একশো কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাত্র ২৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এই জেলায় পৌঁছেছে।আরও কিছু বাহিনী আসার কথা রয়েছে।ওই কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ দিয়ে নির্বাচন কমিশন ভোট করাতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584