উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বলে মন্তব্য করলেন অখিল ভারতীয় কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতির সভাপতি হান্নান মোল্লা। বুধবার ধর্মতলার রানী রাসমনি রোডে কৃষকদের এক সমাবেশে এমনই মন্তব্য করেন তিনি।
কানায় কানায় পূর্ণ ও লাল পতাকায় মোড়া এই সমাবেশে তিনি বলেন,’নরেন্দ্র মোদী ভোটে জেতার আগে অন্তত তিনশো সভায় বলেছিলেন, ক্ষমতায় সব কৃষকের কৃষি ঋণ মকুব করে দেবেন। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে মকুব করেননি। লকডাউনের সময় চোরের মত এই কালা আইন অভিনন্দন জারি করলেও পাস করাতে পারেননি। কৃষকদের কর্পোরেট ভিত্তিক করতে চেয়ে চাষিদের ক্ষতি হবে বুঝতে চাইছেন না প্রধানমন্ত্রী। চাষিদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করতেই এই আইন পাস করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘ক্ষমতা থাকলে জাতীয় সঙ্গীত বদলে দেখাক’, কোচবিহার থেকে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি মমতা’র
দিল্লিতে গত দুমাস ধরে লড়াই করছেন কৃষকরা। ঠান্ডার মধ্যে আন্দোলন করতে গিয়ে ত্রিশ জন কৃষক মারা গেছেন। এজন্য সারা ভারত জুড়ে আগামী কুড়ি ডিসেম্বর শহিদ দিবস পালন করা হবে।’ হান্নান মোল্লা আরো বলেন,’কেন্দ্রীয় সরকার এই নয়া কৃষিবিল পরিবর্তন করতে রাজি নয়। তাই গোটা দেশে আন্দোলন চলবে। সাতশো জেলায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ হবে।
আরও পড়ুনঃ কোচবিহারের সভামঞ্চ থেকে বিজেপির উদ্দেশ্যে সামনা সামনি যুদ্ধের আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর
চোদ্দ থেকে ত্রিশে ডিসেম্বর সারা দেশ জুড়ে চলবে আন্দোলন। আসলে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের কৃষকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। দিল্লিতে আন্দোলনকারী কৃষকদের কখনও খালিস্তানি কখনও বা মাওবাদী বলা হচ্ছে। কখনও বলা হচ্ছে এরা সব বামপন্থী। আমি বলছি পাঁচশোর বেশি সংগঠনের মাত্র আট- দশটি বামপন্থীদের সংগঠন রয়েছে।
এবার আমাদের চিন ও পাকিস্তানের দালালও বলা হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন,’একটি সংগঠনের নাম করে কেন্দ্রীয় কৃষিবিলকে সমর্থনও জানানো হচ্ছে। আসলে ওই সংগঠনের কোনো অস্তিত্ব নেই। কোনো সংগঠনকে কেনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আমরা আজ রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করে এই কৃষিবিল বাতিল করার আবেদন জানাতে গেলে, রাজ্যপাল আমাদের আগাম চিঠি পেলেও তিনি রাজভবনে ছিলেন না। তিনি দেখা করেননি।’ পাশাপাশি রাজ্যের কৃষকদের আত্মহত্যা নিয়েও এদিন সরব হন হান্নান মোল্লা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584