পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
প্রাচীর বিতর্কে নিজের অপদার্থতা ঢাকতে বিশ্বভারতীতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ডেকে আনার অভিযোগ উঠল বিশ্ব ভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় উপাচার্যের দফতরে ৩ সদস্যের ইডির প্রতিনিধিদল আসে।
প্রায় ঘন্টাখানেক উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সাথে বৈঠক করেন ইডির কর্মকর্তারা। তারপর রতনকুঠিতে দুপুরের খাবার সেরে কলকাতা ফিরে যায় ইডির অফিসাররা। অধ্যাপকদের দাবি উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যেদিন থেকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করে শান্তিনিকেতনে পা রেখেছিলেন সেদিন থেকেই তিনি বিশ্বভারতীর পরিপন্থী কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে চলেছেন। বিশ্বভারতী শিক্ষক, ছাত্র, আশ্রমিক, প্রত্যেকেই তার চোখে খারাপ। বিশ্বভারতীতে বর্তমানে পড়াশোনা বাদ দিয়ে বাকি যা যা অপকর্ম আছে সব কিছু ঘটছে। বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রত্যেকের কাছে বাড়ির অভিভাবকের মতো হবেন এটাই প্রত্যাশিত।
আরও পড়ুনঃ হাসপাতালে ভর্তি শ্রম প্রতিমন্ত্রী নির্মল মাজি
কিন্তু উনি যে আচরণ শিক্ষক এবং ছাত্রদের সঙ্গে করছেন দিনের পর দিন তাতে আমাদেরকে উনি বিশ্বভারতীর শত্রু মনে করছে। প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেনকে যেভাবে বর্তমান উপাচার্য হেনস্তা করছেন তাতে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য কলঙ্কিত হয়েছে।
উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর এহেন আচরণে অত্যন্ত মর্মাহত আরেক প্রাক্তন বিশ্বভারতীর উপাচার্য স্বপন দত্ত। তিনি জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্যের ভূমিকা হওয়া উচিত পরিবারের কর্তার মতো। কখনো তিনি সন্তানদের সস্নেহে শাসন করবে, আবার কখনো ছাত্র-ছাত্রীদের আবদারকে গুরুত্ব দিয়ে বিচার বিবেচনা করে দেখবেন। কারণ গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কখনোই হিংসায় বিশ্বাসী ছিলেন না।
আরও পড়ুনঃ বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার কিট দেওয়া বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের, অসন্তোষ প্রকাশ রাজ্যের
বিশ্বভারতীর ছাত্র সোমনাথ সৌ বলেছেন, উপাচার্য তার নিজের অক্ষমতা এবং অপদার্থতা লুকোতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গুলো কে বিশ্বভারতীতে ডেকে এনে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করছেন। এই ধরণের তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে কখনো ছাত্রদের মুখ বন্ধ করা যাবে না। বিশ্বভারতী ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি যে অন্যায় উপাচার্য করছেন তার বিরুদ্ধে সমগ্র ছাত্র-ছাত্রী একদিন বিদ্রোহে গর্জে উঠবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584