‘শুধু গোপনীয়তা কেন, কোনো মৌলিক অধিকারই নিরঙ্কুশ নয়’, হোয়াটসঅ্যাপকে জবাব কেন্দ্রের

0
126

ওয়েব ডেস্ক, নিউজ ফ্রন্টঃ

ডিজিট্যাল মাধ্যমে সরকারি নজরদারির বিধি কার্যকর করা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ভারতীয় সংবিধানে উল্লেখিত নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারকে এক্ষেত্রে হাতিয়ার করেছে তারা। কিন্তু সংস্থার দাবি খারিজ করে কেন্দ্র জানিয়েছে , শুধু গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার কেন! কোন অধিকারই নিরঙ্কুশ নয়। সব অধিকারের উপরই কিছু না কিছু নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি।

social media | newsfront.co

বুধবার থেকে ডিজিটাল মাধ্যমে নজরদারি সংক্রান্ত নয়া কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি আইন কার্যকর হয়েছে। যার জেরে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত যাবতীয় লেখা থেকে শুরু করে মিডিয়া, সবকিছুর উৎস কেন্দ্রকে জানাতে বাধ্য থাকবে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মতো সংস্থাগুলি।

আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা জারির আগে সরকারি বিধি মানার প্রক্রিয়া শুরু করল ফেসবুক

অন্যথায় এই সংস্থাগুলির ওপর ভারতে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে সরকার। মূলত সরকার বিরোধী সমালোচনায় রাশ টানতেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ফেসবুক সহ কয়েকটি সংস্থা সেই বিধি কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু করলেও এ নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।

হোয়াটসঅ্যাপের দায়ের করা এই মামলা প্রসঙ্গে বুধবার কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন,’নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার দায়বদ্ধ কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা এবং জাতীয় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন বলেই মনে করছে সরকার। মৌলিক অধিকারের আইনি ব্যাখ্যা অনুযায়ী, গোপনীয়তার অধিকার হোক বা যে কোনও মৌলিক অধিকার, কোনও কিছুই একেবারে নিরঙ্কুশ নয়।’

আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল মাধ্যমে নজরদারির নয়া কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হোয়াটসঅ্যাপ

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এদিন বলেন, হোয়াটসঅ্যাপের উপরও কেন্দ্রের বিধিনিষেধ কার্যকর। কোন বার্তা কোথা থেকে আসছে, সে উৎস জানাতে বাধ্য সংস্থা। দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষায় গুরুতর অপরাধ বিচার করে দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা ও তাদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির এই তথ্য জানা প্রয়োজন।

যদিও এই নিয়ে নেটিজেনদের একটা বড় অংশ প্রশ্ন তুলছেন একই নিয়ম বিজেপির আইটি সেলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে তো! আইটি সেলের ফেক ভিডিও বা হিংসা ছড়ানোর মেসেজের ক্ষেত্রে নাকি কান টানলে মাথার সন্ধান পাওয়া যেতে পারে, এমনভাবেই ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করছেন তাঁরা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here