নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ক্ষেত্রে কোন বীমার ব্যবস্থা নেই, সুপ্রীম কোর্টে সাফ জানালো কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার একটি জনস্বার্থ মামলার হলফনামায় এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র।
২১ জুন শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চায় যে করোনায় মৃতদের ক্ষেত্রে এক্স গ্রাসিয়া দেওয়া হবে কিনা। আদালতের এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে হলফনামা জমা দিয়ে কেন্দ্রের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হলো যে শুধুমাত্র ১২টি প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যু হলেই মৃতের পরিবার সরকারি ক্ষতিপূরণ পাবেন। উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুর ক্ষেত্রে মৃতের পরিবারকে সরকার ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করে থাকে।
এর আগেও কেন্দ্রের তরফে সুপ্রীম কোর্টে বলা হয়েছিল যে করোনা অতিমারীকে ‘রিস্ক ইন্স্যুরেন্স কভারেজ’এর আওতায় আনার কোন পরিকল্পনা সরকারের নেই। প্রতিটি কোভিড মৃত্যুর ক্ষেত্রে যদি মৃতের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে দিতে হয় তাহলে বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। পাশাপাশি কোভিডের কারণে রাজ্য সরকারগুলির খরচও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে স্বাস্থ্য খাতে, তাই আলাদা করে কোভিডে মৃত্যুর ক্ষেত্রে আর্থিক সাহায্য করা রাজ্য সরকারগুলির পক্ষেও সম্ভব নয়। আইন অনুযায়ী, প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুর ক্ষেত্রেই মৃতের পরিবারকে অর্থ সাহায্য করা হয়। যদিও করোনা অতিমারীকে দুর্যোগ ঘোষণা করা হয়েছে তা সত্বেও কেন্দ্রের পক্ষে এক্ষেত্রে সমস্ত মৃতের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা অসম্ভব, তাছাড়া এখনো পর্যন্ত কোভিডে মৃতের যা সংখ্যা তা পরবর্তীকালে আরো বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে তাঁদের পরিবারকে যদি এই আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয় তাহলে অন্য রোগে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের পরিবারেরও এই ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়া উচিত, কিন্তু সেটিও সম্ভব নয়। কাজেই সামগ্রিক ভাবে সবদিক বিবেচনা করেই কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত হলো ১২টি প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুর ঘটনা ছাড়া নতুন করে করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর ঘটনায় আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব হবে না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584