ওয়েব ডেস্ক, নিউজ ফ্রন্টঃ
দিল্লি সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের কয়লা সংকট মোকাবিলায় বিশেষ নির্দেশিকা জারি করলো প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। কয়লা ও শক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে এ বিষয়ে জরুরি বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লিতে যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহে কোন সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য ‘ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন’ (এনটিপিসি) এবং ‘দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন’ (ডিভিসি)-কে মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। ‘ডিস্ট্রিভিউশন কোম্পানিগুলি’ (ডিসকম) যাতে তাদের চাহিদা মতো বিদ্যুৎ পায় নজর রাখতে বলা হয়েছে সে দিকেও।
পাশাপাশি, যে সব উৎপাদন কেন্দ্রে গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় সেখান থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কথাও ভাবছে কেন্দ্র। যে সমস্ত রাজ্যে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে সেখান থেকেও যেসব রাজ্যে বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে সেখানে বিদ্যুৎ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে ‘বিদ্যুৎ বিক্রির’ চেষ্টা চালালে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে, এমনটাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।
তবে বিরোধীদের বক্তব্য, বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ও রাজ্যগুলির চাপেই শেষমেশ দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র। দু তিন দিন আগেও ‘কয়লার জোগান স্বাভাবিক রয়েছে’ বলে দাবি করে কেন্দ্র। কিন্তু তখন থেকেই দেশ জুড়ে বিদ্যুৎ সঙ্কট নিয়ে কেন্দ্রের কাছে বিভিন্ন রাজ্যের মন্ত্রীরা চিঠি লেখেন।
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পদে নিযুক্ত হলেন শিক্ষা মন্ত্রকের সদ্য প্রাক্তন সচিব অমিত খারে
দিল্লির ‘পরিস্থিতি গুরুতর’ বলে দাবি করে কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দিনে রাজধানীর বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে উঠবে। একই আশঙ্কায় সরব হয় মহারাষ্ট্র, কেরল, পঞ্জাব, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার এবং তামিলনাড়ুও। তারপরেই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় কেন্দ্র।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584