করোনায় আক্রান্ত চন্দননগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের মৃত্যু

0
485

নিজস্ব সংবাদদাতা, হুগলিঃ

করোনাভাইরাসের কবলে গোটা বিশ্ব। এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না কেউই। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কোভিড-১৯-এর জেরে প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ। এবার করোনাভাইরাসে মৃত্যু হল চন্দননগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবদত্তা রায়-এর। বয়স ছিল ৩৮ বছর। জানা গেছে গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। দমদম লিচুবাগানের বাসিন্দা ছিলেন দেবদত্তা।

Debdutta ray | newsfront.co
দেবদত্তা রায়। সংবাদ চিত্র

হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার শ্রীরামপুর শ্রমজীবী কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সোমবার সকাল পৌনে ন’টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। চন্দননগর মহকুমা শাসকের দফতরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত ছিলেন দেবদত্তা রায়। তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে চন্দননগর মহকুমা শাসকের দফতরে। এর আগে পুরুলিয়া ২ ব্লকের বিডিও ছিলেন দেবদত্তা। সেখান থেকেই বদলি হয়ে চন্দননগর মহকুমায় এসেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ কেতুগ্রামে পথ দুর্ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু

জানা যায়, সম্প্রতি হুগলির ডানকুনিতে ‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ ট্রেনে যে সব পরিযায়ী শ্রমিক আসছিলেন তাঁদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব সামলেছিলেন এই তরুণী আধিকারিক। তারপর নিজেই করোনায় আক্রান্ত হন। তবে তিনি একা নন। দেবদত্তার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর স্বামীও করোনা আক্রান্ত হন।

স্বামী ছাড়াও দেবদত্তার বাড়িতে রয়েছে চার বছরের এক শিশু সন্তান এবং তাঁর শাশুড়ী। কিছুদিন আগেই কীভাবে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তার একটা বিবরণ লিখে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবদত্তা রায়। জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে দশ দিনের ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। দেবদত্তার ইচ্ছা ছিল ওই সময়টা সন্তানকে নিজের কাছে পাবেন।

আরও পড়ুনঃ বিজেপি বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগ

৩০ জুন বাড়ি ফেরার পথেই শরীর দুর্বল হতে শুরু করে তাঁর। এরপরই দেবদত্তার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পরে। তাই সন্তানকে আর কাছে পাওয়া হল না তাঁর। অবশেষে করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে গেলেন চন্দননগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবদত্তা রায়।

পরিবার সূত্রে খবর, করোনা উপসর্গ দেখা দিতেই ব্যারাকপুরে গিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই। দেবদত্তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করারও চেষ্টা চলছিল। কিন্তু রবিবার বাড়াবাড়ি হওয়ায় তাঁকে শ্রীরামপুরের শ্রমজীবী কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হুগলির জেলাশাসক রত্নাকর রাও।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here