মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
বিজেপি কর্মী কালাচাঁদ কর্মকারের খুনের প্রতিবাদে ডাকা ১২ ঘণ্টা বন্ধের যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে তুফানগঞ্জে।এখনও পর্যন্ত শুনশান এলাকা। দোকানপাট খোলেনি। বন্ধের সমর্থন ও বিরোধিতায় পথে নেমেছে শাসক-বিরোধী উভয় দল।
জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা, এছাড়া একাধিক জায়গায় জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ৷ বন্ধ সমর্থকদের সরিয়ে দিতে দেখা যায় পুলিশকর্মীদের ৷
জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তুফানগঞ্জ মহকুমার প্রায় সমস্ত দোকানই বন্ধ। রাস্তাঘাটেও দেখা মিলছে না এলাকাবাসীদের। সকাল থেকেই এলাকায় মিছিল শুরু করেছে বিজেপি। পাশাপাশি বন্ধের বিরোধিতায় পথে নেমেছে শাসকদল। একাধিক জায়গায় বচসায় জড়িয়েছে দুই পক্ষ।
আরও পড়ুনঃ বেলদায় বাস-লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ,আহত ১০
কোথাও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছে। মারুগঞ্জে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল-বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। জানা গিয়েছে, বন্ধের সকালে তুফানগঞ্জ মহকুমা জুড়ে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
প্রসঙ্গত, তুফানগঞ্জ মহকুমার নাককাটিগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব শিকারপুর এলাকাতেই দুটি ক্লাব রয়েছে, স্বামীজি সংঘ ও নেতাজি সংঘ। দুই ক্লাবের কালীপুজো নিয়ে কয়েকদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই মঙ্গলবার বিসর্জন হয়।
আরও পড়ুনঃ পিকের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দলবদলের ফন্দি! দরজা খোলা আছে বার্তা কুনালের
স্থানীয়দের কথায়, বুধবার সকালে দুই ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে ফের বচসা বাঁধে। শুরু হয় হাতাহাতি। ঘরের সামনে অশান্তি দেখে তা মেটাতে বের হন কালাচাঁদবাবু। অভিযোগ, তখনই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তড়িঘড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
এরপরেই যথারীতি মাঠে নেমে পড়ে গেরুয়া শিবির। অভিযোগ তোলা হয় তৃণমূলের লোকেরা ওই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584