নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ
বুধবার দুপুর নাগাদ কান্দি পুরসভার অন্তর্গত ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাগডাঙ্গা এলাকায় পোস্ট অফিসে টাকা তোলার রশিদে সনাক্তকরণ স্বাক্ষর করাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল পোস্ট অফিসের সামনে। জানা যায় এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন শান্তনা রায়। তাই এলাকার যে সমস্ত মানুষ স্বাক্ষর করতে পারতেন না তারা টিপসই দিয়ে টাকা তুলতে এলে সনাক্তকরণের জন্য শান্তনা রায় স্বাক্ষর করতেন ওই রশিদে।
দেশজুড়ে করোনা মহামারীর কারণে এবার পুরসভা নির্বাচন হয়নি, তাই শান্তনা রায় এখন প্রাক্তন কাউন্সিলর হিসাবে ওই টাকা তোলার রশিদে স্বাক্ষর করেছিলেন। কিন্তু পোস্ট অফিসের সামনে দুই তৃণমূল দুষ্কৃতী এসে সেই রশিদ গুলোকে ছিঁড়ে দেয় আর বলেন উনি এখন কাউন্সিলর নেই তাই ওনার স্বাক্ষরে টাকা তোলা যাবে না। টাকা তুলতে গেলে ওনাদের স্বাক্ষর লাগবে, না হলে টাকা তুলতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুনঃ ফুল চাষীদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান মন্ত্রীকে
যদিও এমন ঘটনায় পোস্ট মাস্টার বলেন এই ঘটনায় পোস্ট অফিসের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই এটা বাইরের দুইপক্ষের ঝামেলা। এই স্বাক্ষর সবাই করতে পারে। পোস্ট অফিসের আশেপাশে ৫০০ মিটার দূরের বাসিন্দারা যাদের এই পোস্ট অফিসে বই করা আছে। শান্তনা রায় দীর্ঘদিন ধরে এই কাজটি করে আসছেন এখন তিনি কাউন্সিলর নেই কিন্তু উনি একজন শিক্ষিকা উনার এই পোস্ট অফিসে বই করা আছে তাই আমরা নির্দ্বিধায় উনার স্বাক্ষরে টাকা দিতে পারি।
এখানে কেউ যদি বাধা দেয় তাতে আমাদের কোন কিছু করার নেই, এটা পুরোটাই বাইরের ঝামেলা। এটার সঙ্গে পোস্ট অফিসের কোন সম্পর্ক নেই। পোস্ট অফিসের সামনে বসে থাকা তৃণমূল দুষ্কৃতীকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন ২৫ তারিখের পর থেকে পুরসভার দায়িত্ব পেয়েছেন অপূর্ব সরকার ও অজয় বড়াল তাই এখানে প্রাক্তন কাউন্সিলরের স্বাক্ষরে টাকা তুলতে দেওয়া হবে না এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন অপূর্ব সরকার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584