নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ
জেল থেকে মুক্তি পেয়ে এগারো বছর পর বাড়ি ফিরলেন ছত্রধর মাহাতো। রবিবারই তিনি পা রাখেন ঝাড়গ্রামের মাটিতে। যে লালগড়ে একদিন তাঁর নেতৃত্বের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছিল সিপিএম। একদশক পর সেই আন্দোলনের আঁতুড় ঘরে ফিরছেন তিনি। সে খবর পৌঁছেও গিয়েছে সেখানে।
এমন একটা খুশির মুহূর্তে ছত্রধর মাহাতোকে অভ্যর্থনা জানাতে তৈরি জঙ্গলমহলবাসী। ঝাড়গ্রামে ছত্রধর মাহাতোকে অভ্যর্থনা জানালো তৃনমুলের প্রথম সারীর নেতা নেত্রীরা।
আরও পড়ুনঃ ফালাকাটা উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের ঘোষণা সূর্যকান্তর
ছেলের বাড়ি ফেরার খবরে খুশি মা বেদনাবালা মাহাতো। এ দিন তিনি বলেন, ‘বেহুলা যেমন তাঁর স্বামীর জীবন ফিরিয়ে এনেছিল, তেমনি আমার বৌমাও ছেলের নতুন জীবন ফিরিয়ে নিয়ে এল ১১ বছর পর। এর জন্য অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রীকে আমি ধন্যবাদ জানাই।’
অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে ছত্রধর মাহাতো-সহ চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।ছত্রধরের বিরুদ্ধে মোট ২৮টি মামলা রুজু করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ আকাশ আট-এর শ্রীগুরবে নমঃ সিরিজে আসছে নতুন ধারাবাহিক ‘শ্রী শ্রী রামঠাকুর’
২৪টি মামলা ঝাড়গ্রামে, তিনটি মেদিনীপুরে, একটি ঝাড়খণ্ডে। ১৫টি মামলার নিষ্পত্তি অনেক আগেই হয়ে যায়। ২০১৫ সালে আদালত এই মাওবাদী নেতাকে যাবজ্জীবন কারাবাসে দণ্ডিত করে। পরবর্তীকালে হাইকোট ২০১৯ সালে সাজার মেয়াদ ১০ বছর কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
তাতে দেখা যায়, ছত্রধর ১০ বছরের সাজার মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ঘাটশিলায় একটি মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় জেলে বন্দি ছিলেন এই মাওবাদী নেতা। ২২ জানুয়ারি আদালত জামিন পেলেও অসুস্থতার কারণে বাড়ি ফিরতে পারেননি।
অসুস্থ হয়ে পড়ায় এসএসকেএমে ভর্তি ছিলেন। নিজের বাড়ীতে কিছুদিন পরিবারের সাথে সময় কাটাতে চায়। তারপর তিনি রাজনীতিতে নামবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584