উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
আজকে ব্রিগেড সভায় ছিলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। তিনি বলেন, ‘বাংলায় আসা কোনও তীর্থক্ষেত্রের থেকে কম নয়।’ তিনি আরও বলেন,’প্রধানমন্ত্রী নেতাজির জন্মদিনে পরাক্রম দিবস পালন করছেন। ওকে বলব, আপনি ইতিহাস উল্টে দেখুন, যখন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আইএনএ তৈরি করছিলেন, তখন সাভারকর, শ্যামাপ্রসাদ ইংরেজদের হয়ে কাজ করছিলেন। আপনি কখনই নেতাজির উত্তরাধিকারী হতে পারেন না।’ বাঘেলের দাবি,গোটা দেশ জুড়ে ঘৃণার চাষ করছে বিজেপি।
বাঘেল প্রশ্ন তোলেন, ‘মোদীজি বলেছিলেন, দেশ বিক্রি হতে দেব না। কিন্তু আজ রেলস্টেশন, বিমানবন্দর বিক্রি হচ্ছে। বলেন কংগ্রেস কিছুই করেনি, তা হলে এই রেলস্টেশন, বিমানবন্দর কারা করল?’ পরে উনি আরো বলেন,’উনি গুজরাত মডেলের কথা বলেন। আমরা নেতাজির নামে পুলিশ অ্যাকাডেমি গড়েছি। উনি নিজের নামে স্টেডিয়াম করেছেন।’
দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে ধান কেনে ছত্তীসগঢ়, দাবি ভূপেশের। তাঁর আরও দাবি ,’দিদি-মোদী দু’জনেই বিভাজনের রাজনীতি করেন। এক জনের থেকে দেশ আর এক জনের থেকে বাংলাকে বাঁচাতে হবে।’
এরপর বক্তৃতা শুরু করেন সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা। তিনি বলেন,’এই সমাবেশ বোঝাচ্ছে বাংলার মানুষের মনোবল। দেশের সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ।’ তাঁর কটাক্ষ, ‘মোদী-শাহ সংবিধান মানছেন না, মহাত্মা গান্ধী বেঁচে থাকলে বলতেন সবাইকে নয়, শুধু মোদী, শাহ এবং মোহন ভাগবতকেই সুমতি দিন।’
বিজেপি এবং তার সহযোগীদের হারানোর জন্য বলেন রাজা।
আরও পড়ুনঃ দেড়শো জন প্রার্থীর তালিকা পাঠাল রাজ্য বিজেপি, রয়েছেন তারকারা
মোদী, নাড্ডা, শাহ বার বার বাংলায় বা তামিলনাড়ুতে গিয়ে সেখানকার ভাষা, সংস্কৃতি নিয়ে বলছেন। কারণ সেখানকার মানুষ বিজেপির হার লিখছেন। দাবি রাজার। দেশের কৃষকরা সম্পদ তৈরি করেন, কিন্তু মোদী বলেন, আম্বানী, আদানিরা সম্পদ তৈরি করেন। মোদী কার প্রধানসেবক? উনি কৃষক, মজুর, মুসলিম, দলিতদের প্রধানসেবক নয়। তোপ রাজার। তৃণমূলকে সরাতে হবে। তাই বাংলা বাঁচাতে জোটকে জেতান, আহ্বান রাজার।
আরও পড়ুনঃ আমাদের বিমান-অধীর-আব্বাস আছে, আমরা জিতবঃ সেলিম
সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন,’ব্রিগেডের সমাবেশ বোঝাচ্ছে, বাংলায় পরিবর্তন আনবে এই সংযুক্ত মোর্চা। দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন চলছে, অনেকে শহীদ হয়েছেন, কিন্তু মোদীর ভ্রূক্ষেপ নেই। মোদী সরকার না সরলে এই আন্দোলন চলবে, সেই সময়েই এই সংযুক্ত মোর্চার জন্ম। ভোটের সময় অর্থসাহায্য কেন? এই সময়েই ঘোষণা কেন? ঘুষ দিচ্ছ? বিজেপিকে কারা এত অর্থসাহায্য করছে জানা নেই।
অন্যরাজ্যে সারদা, নারদা হয়েছে। বিজেপি ও তৃণমূল একই। অভিযোগ সীতারামের। মোদীর নামে স্টেডিয়াম নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি। বিজেপি হিন্দু-মুসলমানের রাজনীতি করে, অভিযোগ সীতারামের।
বিজেপি হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভাজন করছে, আমাদের লুটপাটের সরকার বা জাতপাতের সরকার দরকার নেই। আমাদের দরকার জনহিতের সরকার। ত্রিশঙ্কু হলে কী করবেন? আমাকে এক জন জিজ্ঞাসা করলেন। আমি বললাম, আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করুন। উনিই তো বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করেন। কারণ এটাই ওর চরিত্র। ত্রিশঙ্কু হলে উনি বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করবেন। জানালেন ইয়েচুরি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584