নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
দেশ জুড়ে সংশোধনী নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অশান্তির যে দামামা বেজেছিল, তা ঠেকাতে প্রশাসন শক্ত হাতে পথে নেমেছিল।
প্রতিবাদের ঝড় বিপথগামী করে দেওয়ার জন্য বিশেষত উত্তরপ্রদেশে চলেছিল সবচেয়ে বেশি গুলি। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে পুলিশ স্বীকার করেছিল বিজনৌরে ২০ বছর বয়সী যুবক সুলেমান পুলিশের গুলিতেই মারা গিয়েছিল।
কিন্তু যোগীর রাজ্যে এ হেন মানবতাবাদকে নস্যাত করে দেওয়ার পিছনের সিদ্ধান্তকে সমীচীন বলেই মনে করছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
हर दंगाई हतप्रभ है।
हर उपद्रवी हैरान है।
देख कर योगी सरकार की सख्ती मंसूबे सभी के शांत हैं।
कुछ भी कर लो अब, क्षतिपूर्ति तो क्षति करने वाले से ही होगी, ये योगी जी का ऐलान है।
हर हिंसक गतिविधि अब रोयेगी क्योंकि यूपी में योगी सरकार है। #TheGreat_CmYogi
— Yogi Adityanath Office (@myogioffice) December 27, 2019
গতকাল তাঁর অফিসিয়াল টুইটার পেজ থেকে একটি পোস্ট করা হয়, যার সারকথা ছিল রাজ্যে চলা বিক্ষোভ দমন করতে এবং প্রতিবাদীদের কড়া শাস্তি দিতে যা করা হয়েছে তা একদম ঠিক।
আরও পড়ুনঃ এনআরসি-সিএএ বিরোধী সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ বহরমপুরে
-হ্যাশট্যাগ ‘গ্রেট সি এম যোগী’ দিয়ে এই পোস্টটি টুইট করা হয়। তাতে বলা হয়, প্রত্যেক বিক্ষোভকারী এখন প্রমাদ গুনছে৷ তারা সবাই হতবাক। তারা চুপ করে গেছে যোগী সরকারের শাসন ও কঠোরতা দেখে।
যোগী ঘোষণা করেছেন, যারা জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করবে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। উনি জানান, “যে সমস্ত লোক সহিংস বিক্ষোভের পথ বেছে নিয়ে জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করেছে এখন তাঁদের সেই সব লোকসানের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে” — অফিসিয়াল পেজ থেকে করা আরেকটি টুইটে বলা হয়।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে যে তারা মোট ৪৯৮ জন লোককে সনাক্ত করেছে, যার মধ্যে শুরু মিরাটেই আছে ১৪৮ জন, যাদের ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হবে।
আরও পড়ুনঃ রায়গঞ্জে তিনদিন ব্যাপী কৃষি মেলার সূচনা
কিন্তু উত্তরপ্রদেশ সরকারের এভাবে বুক চাপড়িয়ে যা করেছি উচিত করেছি বলা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র নিন্দা চলছে।
বৃহস্পতিবার, পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের অভিযোগে রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ১,১১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584