শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
চিকিৎসা পরিষেবার বদলে রোগীর পরিবারের থেকে বেশি পরিমাণে বিল হাতিয়ে নেওয়াই যেন লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে শহরের হাসপাতালগুলির। ফের বাইপাসের ধারে এক নামী হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতিতে শিশুমৃত্যু এবং বিল না মেটানো হলে দেহ আটকে রাখার মতো মারাত্মক অভিযোগ করল এক পরিবার। এবার অভিযোগ উঠেছে ভিআইপি রোডের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। যদিও শেষ পর্যন্ত পরিবারের চাপে পিছু হঠতে বাধ্য হয় হাসপাতাল।
জানা গিয়েছে, আনন্দপুর নোনাডাঙার বাসিন্দা কৌশিক ও নিশা চক্রবর্তীর ২৪ জুন এলাকারই একটি নার্সিংহোমে পুত্রসন্তান হয়। তবে জন্ম থেকেই শিশুটির হৃদযন্ত্রে ফুটো ছিল। সেই কারণে তাকে বাগুইআটির একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু প্রথম থেকে শিশুটির সেভাবে কোনও চিকিৎসাই হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের।
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্য কমিশনের হস্তক্ষেপে করোনায় মৃত চিকিৎসকের বিল ৩ লক্ষ ৬০ হাজার কমাল মেডিকা
এই নিয়ে তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলারও চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছু বলার আগেই শিশুটির পরিবারকে ৬ লক্ষ ৪৪ হাজারের বিল ধরায় হাসপাতাল। প্রথম দফায় ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকাও দেয় শিশুটির পরিবার। কিন্তু তারপরও শিশুটির সঠিক চিকিৎসা হয়নি বলেই অভিযোগ পরিবারের। আর একথা হাসপাতালে বলতেই ঝামেলা শুরু হয়।
আরও পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক তরুণীকে যৌন প্রস্তাব, অভিযুক্ত ডিওয়াইএফআই নেতা ঋদ্ধ
বকেয়া শোধ না করলে ফল ভাল হবে না বলে হুমকিও দেওয়া হয় শিশুটির পরিবারের সদস্যদের। এরপরই বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয় পরিবারকে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্য হাসপাতালে যেতেই ফের তাঁদের কাছে বাকি টাকার দাবি জানায় হাসপাতাল। বকেয়া না মেটালে দেহ ছাড়া হবে না বলেও জানানো হয় বলেই অভিযোগ। পরে অবশ্য ঝামেলা শুরু হলে ২০ হাজার টাকা নিয়ে দেহ ছাড়ে হাসপাতাল।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই কার্যত একই ঘটনা ঘটেছিল কলকাতায়। করোনা রোগীকে ভরতির টাকা নিয়ে দর কষাকষির মাঝে ডিসান হাসপাতালের সামনেই অ্যাম্বুল্যান্সেই মৃত্যু হয় রোগীর। বার বার এই ধরনের ঘটনা ঘটায় তদন্ত শুরু করেছে স্বাস্থ্য কমিশন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584