নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ


বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু।চিকিৎসা হচ্ছে না অর্থাভাবে।মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকের উত্তর রাঙ্গালিবাজনা গ্রামের ডাঙ্গাপাড়ায় বাড়ি কেশব রায় ও মণিকা রায়ের সাতমাস বয়সি ছোট্ট শিশুটির মাথার বাম দিকটা জন্ম থেকেই অস্বাভাবিক ফোলা।দেখে মনে হতে পারে,মাথার পাশে আর একটি মাথা রয়েছে।মাথা ভারি হয়ে যাওয়ায় বিছানায় শোয়া অবস্থায় মাথা তোলার চেষ্টা করলেও পর মূহুর্তেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে দুগ্ধ পোষ্য শিশুটি।বাবা দিনমজুর। সম্বল বলতে ভিটেমাটি আর টিনের একটা ঘর ছাড়া আর কিছু নেই। ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়।তাই রোগ বহন করে বিনা চিকিৎসায় দিন কাটছে সাতমাস বয়সী প্রীতম রায়ের।
শিশুটি বাবা কেশব রায় তিনি বলেন,”জন্ম থেকেই মাথার বাম দিকটি বিরাট আকারের ফোলা ছিল।তাই তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কয়েক মাস পর কোচবিহারে এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই আমার ছেলেকে।পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান, অপারেশনের জন্য কয়েক লক্ষ টাকা দরকার।আমি দিনমজুরী করে অন্ন জোটাই কোন মতে।কয়েক লক্ষ টাকা কোথায় পাব।’
কেশবের স্ত্রী মণিকা রায় বলেন,’সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পেলে হয়তো আমাদের ছেলে সুস্থ হয়ে উঠবে।’
রাঙ্গালিবাজনার বাসিন্দা তথা কালচিনির লতাবাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ডা: বিপ্লব রায় বলেন,”বিরল প্রজাতির টিউমারে আক্রান্ত হয়েছে শিশুটি।এধরনের টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা কমই দেখা যায়।তবে চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো হতে পারে শিশুটি।”

আরও পড়ুন: জৈব প্রযুক্তিতে চাষের কর্মশালা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584