নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
করোনা অতিমারী নিয়ে প্রতিবেদন করায় এক মহিলা সাংবাদিককে চার বছর কারাদণ্ডের শাস্তি দিল চিন। বিবাদ সৃষ্টি ও সংঘাতে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে সোমবার ঝাং ঝান নামে ওই সাংবাদিককে এই কারাদণ্ডের আদেশ শোনালো চীনের একটি আদালত।
জানা গিয়েছে, ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ‘পিকিং কোয়ারেলস অ্যান্ড প্রভোকিং ট্রাবল’ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। ১৯৯৭ সাল থেকে চিনে এই আইন কার্যকর হয়। ২৯৩ ধারার অধীনে থাকা বিবাদে উস্কানি দেওয়া আইনটির সর্বোচ্চ সাজা ৫ বছর জেল।
৩৭ বছর বয়সী নাগরিক সাংবাদিক ঝান গত মে মাসে গ্রেফতার হন। চিনে সরকার বিরোধী কথা বললেই সাধারণত এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়ে থাকে। সোমবার তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে সাংহাই আদালতে হাজির করা হয় ঝাংকে, আদালত কারাদণ্ডের আদেশ দেয়।
আরও পড়ুনঃ চিনে কোটিপতি গেম নির্মাতার মৃত্যু বিষ প্রয়োগে, দাবি সাংহাই পুলিশের
ঝানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে চার্জ গঠন হয় নভেম্বরের শুরুর দিকে। অভিযোগ করা হয় , তিনি টেক্সট মেসেজ, ভিডিও ও অন্যান্য বিষয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইচ্যাট, টুইটার এবং ইউটিউবের মতো প্লাটফর্মে। এ ছাড়া তিনি বিদেশি মিডিয়ার কাছে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ব্রিটেন ফেরত ৬ ভারতীয়র শরীরে মিলল নয়া স্ট্রেনের করোনা
উহান শহরে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে খবর করে বিভিন্ন আইনি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন সেখানকার বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অন্তত তিন জন নিখোঁজ হন। যাদের মধ্যে দুজন ফিরে আসলেও একজন এখনও নিখোঁজ ।
জানা গেছে, সাংবাদিক ঝ্যাং ঝান ফেব্রুয়ারি মাসে উহানে যান। সেখান থেকেই তিনি বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। চিনা এনজিও নেটওয়ার্ক অব চাইনিজ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস (সিএইচআরডি) জানিয়েছে, অন্যান্য নানা বিষয়ের পাশাপাশি ঝ্যাং ঝান অন্য স্বাধীন সাংবাদিকদের আটক করে রাখা এবং আক্রান্ত পরিবারগুলির যাঁরা স্বচ্ছতার দাবি তুলেছিলেন তাঁদের হয়রানি নিয়েও প্রতিবেদন করেন। সেই কারণেই কি শাস্তির খাঁড়া! প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584