চিনা সেনা অনুপ্রবেশের তথ্য উধাও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে

0
54

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

‘পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সীমানায় চিনা সেনা ঢুকে পরেছিল’- এ কথা লেখা হলেও বর্তমানে তা উধাও প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে। গত বুধবারই ভারতীয় সীমানায় চিনা সেনা অনুপ্রবেশের নথি ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছিল। কিন্তু ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই তা ওয়েবসাইট থেকে তুলে নেওয়া হয়।

IND China Border | newsfront.co
ফাইল চিত্র

এ দেশের ভূখণ্ডে চিনা সেনা অনুপ্রবেশের সঙ্গেই দুই দেশের সেনার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়ও ওই নথিতে উল্লেখ ছিল। মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে এর আগে (মে-জুন মাসে) নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে লাল-ফৌজের অনুপ্রবেশের কথা বলা হয়নি।

চলতি বছরের জুন মাসে নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে সর্বদল বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে চিনা সেনার আগ্রাসন ও অনুপ্রবেশের কথা খারিজ করে ছিলেন মোদী। কিন্তু, ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নথিতে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের চিনা সেনার ঢুকে পড়ার বিষয়টির উল্লেখ ছিল।

আরও পড়ুনঃ দেশের নতুন কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (CAG) হলেন গিরিশ চন্দ্র মুর্মু

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওই নথি কার্যত খারিজ করেছিল মোদীর বক্তব্য। ওই নথিকে ভিত্তি করেই মোদীকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তারপরই মন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে ওই নথি উধাও হয়ে যায়। চিনা সেনার অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত নথি কেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তা নিয়ে বৃহস্পতিবার মুখ খুলতে চাননি মন্ত্রকের মুখপাত্র।

নথিতে লেখা ছিল, ‘চিনা সেনার একতরফা আগ্রাসনে পূর্ব লাদাখ সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে, ওই অঞ্চলের নজরদারি প্রয়োজন এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনার ভিত্তিতে পদক্ষেপ হবে।’ এছাড়াও উল্লেখ ছিল, ‘২০২০ সালের ৫ মে থেকে লাইন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনা আগ্রাসন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত গালওয়ান উপত্যকা এলাকায় চিনাদের উপস্থিতি লক্ষ করা গিয়েছে। ১৭-১৮ মে চিনারা বেআইনিভাবে কুংরাং নালা, গোগরা এবং প্যাংগং তাসো অঞ্চলের উত্তর দিকে ঢুকে পড়েছিল।’

আরও পড়ুনঃ নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী কীভাবে চিন্তা করতে হবে তা শেখানো হবেঃ মোদী

ওই নথিতে আরও লেখা ছিল, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে কথা হয়েছে। গত জুন মাসে এক কোর কম্যান্ডার চিনের সেনাকর্তাদের সঙ্গে ফ্ল্যাগ মিটিং করেছেন। গত ১৫ জুন দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। তাতে দু’পক্ষেরই কয়েকজন হতাহত হয়েছে।’

গত ১৯ জুন প্রধানমন্ত্রী সর্বদল বৈঠকে বলেছিলেন যে, ‘আমাদের দেশের সীমানা অতিক্রম করে না কেউ প্রবেশ করেছে, না কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। আমাদের কোনও পোস্ট কারুর কব্জায় নেই।’ এরপরই বিরোধী শিবির থেকে প্রশ্ন তোলা হয় যে, যদি অনুপ্রবেশ বা কোনও ভারতীয় এলাকা চিনাদের দখলে না থাকে তবে সংঘর্ষের প্রয়োজন হল কেন? মোদীর বক্তব্য ও বাস্তব পরিস্থিতির মধ্যে অসামঞ্জস্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এরপর ওয়েবসাইট থেকে নথি সরানোর প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সকালে রাহুল গান্ধী টুইটে বলেন, ‘কেন প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা বলছেন? প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বা ওয়েবসাইট থেকে নথি সরিয়ে ফেললেই বাস্তব বদলে যাবে না।’

উল্লেখ্য, ভারত-চিন নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা প্রশমণে দুই দেশের সেনা ও কূটনৈতিকস্তরে আলোচনা চলছে। গালওয়ান ও পিপি -১৫ থেকে উভয় দেশের সেনা সরলেও গোগরার পিপি ১৭-ও ও প্যাংগং থেকে এখনও লাল-ফৌজ সরেনি। এমনকী পিঙ্গার ৪-য়ের রিজ লাইনও চিনাদের আয়ত্তে রয়েছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here