প্রযুক্তির অপব্যবহারের জন্য তিন বছরের কারাদন্ড চৈনিক গবেষকের

0
32

নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ

সোমবার, চিনের একটি আদালত দেশের এক গবেষককে তিন বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করেছে। তাঁর অপরাধ ছিল অবৈধ ভাবে ওষুধ চর্চা ও গবেষণা করে ‘জিন-এডিটেড’ শিশু তৈরি।

চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘সিনহুয়া’-র সূত্রে জানা গেছে, ‘জিন-এডিটেড’ শিশুর আবিষ্কর্তা বিজ্ঞানী হে জিয়ানকুই ২০১৮ সালের নভেম্বরে শিয়াজেনের সাদার্ন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-এর সহ অধ্যপক পদে নিযুক্ত ছিলেন।

chinese scientist arrested for misuse of technology | newsfront.co
গবেষক হে জিয়ানকুই। চিত্র সৌজন্যঃ সিএনএন ডট কম

সেই সময়ে তিনি যমজ কন্যাসন্তানদের উপর জিন পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে ‘সিআরআইএসপিআর-ক্যাস 9’ জিন-এডিটিং প্রযুক্তি প্রয়োগ করেন। তাঁর মতে, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যমজ শিশুদের ভবিষ্যতে এইডস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

কিন্তু তাঁর গবেষণার নৈতিকতা সম্পর্কে নানারকম প্রশ্ন চিন-সহ গোটা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। সিনহুয়ার তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, তিনি এবং তাঁর সহকারিরা এই গবেষণার নৈতিক পর্যালোচনার উপকরণ জাল করেছিলেন।

আরও পড়ুনঃ ময়নায় বিজেপি কর্মীর বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা

এছাড়াও, জিন-এডিটিং প্রক্রিয়ায় শিশুদের জন্মের জন্য নিযুক্ত দম্পতিদের মধ্যে এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও তাঁরাই নিযুক্ত করেন। ফলে এই পদ্ধতিতে তার গবেষণার অন্তর্ভুক্ত দু’জন মহিলা তিনটি ‘জিন-এডিটেড’ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

জিয়ানকুই-এর এই কর্মকাণ্ডের পিছনে দুটি নামহীন চিকিৎসাকেন্দ্র যুক্ত। কিন্তু এই চিকিৎসাকেন্দ্র দুটিতে কর্মরত জাং রেনলি ও কিন জিনজহু নামের দুই ব্যক্তির শাস্তি আদালত অপেক্ষাকৃত লঘু করেছে।

আরও পড়ুনঃ পিকনিক স্পটে দেদার বিকোচ্ছে নিষিদ্ধ গুটখা

এই মামলার রায়ে আদালত জানিয়েছে, কোনও রকম শংসাপত্র ছাড়াই বেআইনিভাবে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালিয়ে আসামিরা চিকিৎসাশাস্ত্রের জাতীয় বিধি লঙ্ঘন করছে। পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং চিকিৎসাশাস্ত্রের নৈতিকতার অপপ্রয়োগ করছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here