শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
রবিবার রাতে খুনের ঘটনার পরই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু হেমতাবাদ ঘটনার মতই বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনের তদন্তভার সিআইডি-র হাতে তুলে দিল রাজ্য সরকার। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের থেকে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডি-র হাতে।
ব্যারাকপুর জুড়ে বনধ, রাস্তা অবরোধ করতে আগুন জ্বালিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। ক্ষোভের আঁচ টের পাওয়া গিয়েছে কলকাতায় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের সামনেও। এরই মধ্যে ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-র হাতে তুলে দিল রাজ্য সরকার।
নবান্ন থেকে নির্দেশ আসতেই এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রমাণ সংগ্রহ করেন ৫ সদস্যের সিআইডির গোয়েন্দারা। এর পর তারা যান টিটাগড় থানায়।
আরও পড়ুনঃ রাজনৈতিক টার্গেট করে খুন বন্ধ হোক- সরাসরি বৈঠকে মুখ্যসচিবকে বার্তা রাজ্যপালের
বিজেপির দাবি, তৃণমূলের নির্দেশে পুলিশ খুন করেছে মণীশ শুক্লাকে। যদিও এই তত্ত্ব মানতে নারাজ পুলিশ।বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ হল ম্যাজিশিয়ান। কী করে খুনের ঘটনাকে আত্মহত্যা প্রমাণ করতে হয় তাতে তারা সিদ্ধহস্ত।’
আরও পড়ুনঃ উপত্যকায় জঙ্গি আক্রমণে ২ সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু, আহত আরও ৩
তবে সোমবার রাজ্য পুলিশের তরফে টুইট করে জানানো হয়, টিটাগড়ে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে খুন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ ছিল। কী কারণে তাঁর হত্যা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ব্যক্তিগত শত্রুতা না পুরনো আক্রোশ, খুনের কারণ কী তা জানার চেষ্টা চলছে। তদন্ত চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ব্যাপারে যে কোনও বিরূপ মন্তব্য তদন্তে বাধা দেওয়ার সামিল।
আরও পড়ুনঃ এসএফআই দিয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি, তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে অর্জুন ছায়াসঙ্গী মণীশ
এদিকে টিটাগড়ে সোমবার সকাল থেকেই দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ বাধে পুলিশ এবং মণীশ শুক্লার অনুগামীদের মধ্যে। সিআইডি-র অফিসারেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁদের লক্ষ্য করেও ইট-পাথর-কাচের বোতল এমনকি বোমাও ছোড়া হয়। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেলও। এলাকায় পরিস্থিতি এখনও রয়েছে থমথমে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584