নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
গত বছর লোকসভা ভোটের সময় বিতর্কিত সিটিজেনশিপ বিলের সংশোধন নিয়ে ভাল রকম কথা উঠেছিল। তখন সরকারি আধিকারিকরা বলেছিলেন, বাইরে থেকে এ দেশে যারা অনুপ্রবেশ করেছে, তাদের ‘অবৈধ অভিবাসী’- এই তকমাটি দেওয়া হোক।
আরও পড়ুনঃ সিয়াচেনে তুষারধসে মৃত্যু ৬ সেনা জওয়ান-মালবাহকের
১৯৫৫ এর সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট এ কিছু সংশোধন প্রয়োজন মনে করে, সরকার ঘোষণা করে, ধর্মীয় নিপীড়নে আক্রান্ত বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান থেকে আসা শিখ, জৈন, পার্সী, খ্রীস্টানদের কোনও সঠিক কাগজপত্র না থাকলেও তাদের ভারতীয় নাগরিকের তকমা দেওয়া হোক। ২০১৪ এবং ২০১৯ লোকসভা ভোটে বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল এরকমই।
তবে সরকারি এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সিটিজেনশিপ বিলের নতুন খসড়ায় কিছু পরিবর্তন আনা হবে। কাজ চলছে।
সম্প্রতি একজন প্রবাসী ভারতীয়ের লেখা একটি বই থেকে জানা গেছে, সিটিজেনশিপ বিলে পাস হওয়া কিছু নীতি প্রবাসী ভারতীয়দের সিটিজেনশিপ কার্ডের নিয়মাবলীকে লঙ্ঘন করে, তাই এই বিলের সংশোধন এবং পরিবর্ধন একান্ত প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঃ দিল্লির দূষিত বাতাস দেশের অর্থনৈতিক মন্দার অন্যতম কারণ
কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআই (এম) এবং আরও কয়েকটি দল এই বিলের বিরোধিতা করেছে। তাদের দাবি যে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব কখনওই দেওয়া যায় না।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনগণ ও সংগঠনের একটি বড় অংশও এই বিলের বিরোধিতা করে বলেছে যে এটি ১৯৮৫ সালের আসাম চুক্তির বিধান বাতিল করে দেবে, যার দ্বারা ধর্ম নির্বিশেষে সকল অবৈধ অভিবাসীদের নির্বাসনের কাট-অফ ডেট হিসাবে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
পূর্ববর্তী বিল অনুসারে, যারা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তারা আইন হয়ে যাওয়ার পরে এই সুবিধাগুলি পাওয়ার যোগ্য।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584