নিউজফ্রণ্ট, ওয়েবডেস্কঃ
‘সিটি অফ জয় এখন’ ‘সিটি অফ কনটেইনমেন্টস জোনস’। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে মৃত্যু। আর করোনার করাল থাবা রুখতে বাড়ছে কনটেইনমেন্টস জোনের সংখ্যা। রাজ্যের মধ্যে করোনা সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে রাজধানী কলকাতা এবং পাশববর্তী হাওড়া জেলাতেই। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা ব্যারিকেডের বাঁধুনিতে ছটফট করছে। ২২৭ টি কনটেইনমেন্ট জোন এখন বেড়ে ৩১৯-এ পর্যবসিত। এইসব এলাকার বাসিন্দারা বাইরে যেতে পারছে না বাইরের বাসিন্দাদেরও এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ। রয়েছে কড়া পুলিশী পাহারা।
পাশ্ববর্তী শহর হাওড়াকেও ইতিমধ্যেই গ্রাস করেছে এই ভয়াবহতা। হাওড়া শহর জুড়েও তাই চলছে পুলিশের কড়া নজরদারি। শহরের কোনো ব্যাক্তি যেমন শহরের বাইরে যেতে পারছে না তেমনই বাইরের কোনো ব্যক্তির ও এই মুহূর্তে শহরে প্রবেশের অনুমতি মিলেছে না।মেয়র ফিরাদ হাকিমের এলাকা চিৎপুর। যাকে সংক্রামন ছড়ানোর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হচ্ছে।
বর্তমানে সে অঞ্চলে এলাকার প্রায় প্রতিটি রাস্তার মুখই আটকে দেওয়া রয়েছে। অন্যদিকে সকাল বিকেলের প্রায় ২৪ ঘণ্টার এক অন্যতম দুরন্ত এলাকা কলকাতার অতিপুরাতন জনপ্রিয় মার্কেট বড়োবাজার যার সরুসরু ফিতের মতো গলি গুলিকেও আটকে দেওয়া হয়ছে শক্ত ব্যারিকেডের বাঁধনে।
আরও পড়ুনঃ ভেন্টিলেশন থেকে ক্যানসার, জীবনের লড়াইয়ে দুই প্রৌঢ়র কাছে পরাস্ত করোনা
যদিও এ বিষয়ে মেয়র জানান, ” যদি শহরের বাইরে থেকে মানুষ ট্রাকে করে শহরে ঢুকে পড়ে তাহলে আপনি ভাইরাসের পরীক্ষা করতে পারবেন না। আমরা পুলিশকে বলেছি, শহরের কোনো স্থান ঠিক করে দিতে, যেখানে সমস্ত ট্রাক এসে তাদের মাল খালাস করতে পারবে। ”
করোনা সংক্রমনের ছায়া পরেছে জাদুঘর সংলগ্ন এলাকাতেও। যার জেরে বৃহস্পতিবার সংক্রমন কবলিত হয়ে মারা যায় মিউজিয়ামের এক সিআইএসএফ জওয়ান। বর্তমানে পার্কস্ট্রিট যাকে এ শহরের এক অন্যতম আধুনিক আনন্দের শহর হিসাবে ধরা হতো এই মুহূর্তে তা আজ এক নিশ্চুপ ঘুমন্ত পুরী। সে যেন আজ ঘুমের দেশের কোনো এক অজানা স্বপ্নে বিভোর। সেই এলাকার প্রায় সব দোকানেই ঝুলছে তালা। যদিও বা পাড়ার মুখে কোনো একটি মুদি দোকান থাকে খোলা। তাতে যতো দূর চোখ যাবে দেখা যায় বহুদুর বিস্তৃত মানুষের লাইন।
এই অঞ্চলেরই এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত পড়ুয়া জানান, ” এই এলাকা কনটেনমেণ্ট জোনের মধ্যে পরছে না। কিন্তু ভয় রয়েছেই, যেভাবে কনটেনমেণ্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। সবচেয়ে বড়ো কথা আমরা বুঝতে পারছি না কতোবড়ো বিপদের মধ্যে আমরা এসে পড়েছি। এটা আমার আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। সরকারের উচিত এবিষয়ে আরও স্বচ্ছ হওয়া। ”
যদি ফিরে দেখা যায় পার্শ্ববর্তী শহর হাওড়া। সেই রেড জোন অন্তর্ভুক্ত এ শহর ও আজ করোনা কাঁপুনিতে ধুঁকছে। বর্হিজগতের সাথে তার সম্পর্ক আজ প্রায় বিচ্ছিন্ন। প্রতি রাতে আলোর সাজে সজ্জিত ব্রিজের দু- পাশে রয়েছে আজ পুলিশের কড়া নজরদারি। চেকিং -এর তীব্র কড়াকড়ি। ব্যারিকেডের বাঁধুনিতে বন্ধ শহর যেন ছটফট করে চিৎকার করছে মুক্তি মিলবে কবে?
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584