ওয়েবডেস্ক, নিউজফ্রন্ট:
“নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে মানুষের ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলাটা অযৌক্তিক হবে। কারণ এই আতঙ্ক তোমাদের(সরকার) সৃষ্টি।” বলে মন্তব্য করলেন মুম্বাই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জাস্টিস প্রদীপ নান্দরাজোগ।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি ১৮ বছরের কর্মজীবন শেষ করতে যাওয়া এই বিচারপতি ‘ফ্রী প্রেস জার্নাল’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর)প্রক্রিয়া ঘোষণার মাধ্যমে ‘হাফ দ্যা ড্যামেজ ইজ ডান’ অর্থাৎ অর্ধেক ক্ষতি হয়ে গেছে। মানুষ এখন ভয় করছে এনআরসির মাধ্যমে বাকিটা হবে। সরকারের এ ব্যাপারে স্বচ্ছ হওয়া খুবই প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
“সরকারের উচিত এ ব্যাপারে স্বচ্ছ হওয়া। নিয়ম এবং কি প্রমান লাগবে সেটা পরিষ্কার করে বলা। কিন্তু এটা না করে সরকার ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর) প্রক্রিয়া শুরু করে অর্ধেক ক্ষতি করে দিয়েছে” বলে মন্তব্য করে এই বিচারপতি বলেন এর পরেই হয়তো বা এনআরসি।
‘সিএএ-এনআরসি-এনপিআর’ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন যে বিষয়টিকে দুটো দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা উচিত- এটা ভারতীয় সংবিধানকে লংঘন করছে কিনা ও এটা ভারতের সংবিধানের মূল্যবোধকে কতটা রক্ষা করছে।
বিচারপতি সি জে নান্দরাজোগের মতে আন্দোলনকারীদের এনআরসির নিয়ম কানুন প্রকাশ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত ছিল। একই সাথে তিনি মন্তব্য করেন, ” কিন্তু একই সঙ্গে এটাও বলতে বাধ্য হচ্ছি, বিশেষ করে আসামে বিশাল সংখ্যক চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়ার পর মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত এবং সেখানকার আদালত গুলোও বলছে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584