নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, আগস্ট মাস পর্যন্ত স্কুল খোলা যাবে না। কিন্তু অভিভাবকদের চাপে করোনা আবহেই খুলে গেল দাসপুর-১ ব্লকের হাট সরবেড়িয়া ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় স্মৃতি শিক্ষা নিকেতন। মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রেখেই এদিন দশম শ্রেণীর ৫২ জন ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে ক্লাস করে।
কবে খুলবে স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এখনও ঠিক করতে পারেনি , না কেন্দ্র সরকার, না রাজ্য সরকার ! মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক, উচ্চ শিক্ষা দফতর, ইউজিসি পর্যন্ত স্থির করতে পারছে না যে, ঠিক কবে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ ভাবে স্কুল খুলে দেওয়া যাবে ।কিন্তু এরই মধ্যে করোনা আবহে স্কুল খুলে দিলেন ঘাটাল মহকুমার দাসপুর থানার এক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। গোটা ঘটনায় হৈচৈ পড়ে গেছে গোটা রাজ্যে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শিক্ষা দফতর এবং ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দাসপুর থানার পুলিশ।
এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর-১ ব্লকের হাট সরবেড়িয়া বিধান চন্দ্র রায় উচ্চ বিদ্যালয়ে। রীতিমত ছাত্র-ছাত্রীদের বসিয়ে ক্লাস করানো হল কয়েকটি বিষয়ে। যদিও স্কুলের পক্ষে দাবি করা হয়েছে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স মেনেই ক্লাস করানো হয়েছে পড়ুয়াদের। নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনেই বসানো হয়েছিল তাদের।
প্রধান শিক্ষক বলেন,” যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক আমাকে লিখিতভাবে এ ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন, কেবল তাঁদের বাড়ির ছাত্র-ছাত্রীদেরই স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে । বাকিদের নয়।”এদিন দুপুর ১২টা থেকে স্কুল চালু হয়। স্কুলের দশম শ্রেণীতে মোট ১৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। তার মধ্যে এদিন এক তৃতীয়াংশ ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে এসেছিল। প্রত্যেকের মুখেই ছিল মাস্ক। ব্যাগে ছিল স্যানিটাইজার।
আরও পড়ুনঃ ফের চিকিৎসক নিগ্রহের অভিযোগ এনআরএস হাসপাতালে
ছাত্র-ছাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলে ঢুকছে কি না, তা গেটের সামনে দাঁড়িয়ে দেখা হয়। তাছাড়া স্কুলে ঢোকার আগে প্রত্যেকের হাতে স্যানিটাইজারও দিয়ে দেওয়া হয়। একটি বেঞ্চে একজন পড়ুয়াকে বসানো হয়েছিল। ৫২ জন ছাত্র-ছাত্রীর জন্য দু’টি ক্লাসরুম ব্যবহার করা হয়। এদিন মোট তিনটি বিষয়ের ক্লাস নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584