সিপি(আই)এমের দখলে থাকা পাটুলি গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে নিতে মরিয়া তৃণমূল

0
93

শ্যামল রায়, পূর্বস্থলী:পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিরোধীদের দখলে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে যে মেড়তলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতটি ,পাটুলি গ্রামপঞ্চায়েত ও কালেকাতলা ২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েত সিপিএমের দখলে রয়েছে।এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল দখলে নিতে জোরকদমে প্রচার অভিযানে নেমে পড়েছে। বুধবার মিরতলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে এক নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই জনসভায়  তিন গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটারদের কাছে ঘাস ফুল ফোটানোর আবেদন জানিয়েছেন  তৃণমূল নেতৃত্ব। নির্বাচনী জনসভায় ছিলেন তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য তাপস দে, সন্ন্যাসী সর্দার ও রবীন্দ্রনাথ মন্ডল।তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ যে সারা রাজ্যে ব্যাপক উন্নয়নমুখী কাজ হয়েছে ব্যাতিক্রম শুধুমাত্র এই ব্লকের দখলে থাকা পঞ্চায়েত গুলোতে উন্নয়নের জোয়ার থমকে আছে। কাজের গতি আনবার জন্য যে ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার ছিল তা সিপি (আই)এম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য সেরকম উন্নয়নের গতি বজায় রাখতে পারিনি। ফলে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা ভোটারদের কাছে পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ তাদের।এবারের নির্বাচনে এই পঞ্চায়েতটিতে  ত্রিমুখী লড়াই হবে। পাটুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ১১টি। বিগত নির্বাচনে সিপিআইএম পেয়েছিল ৯ টি আসন ও তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ২ টি আসন‌। এবারের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস একটি আসনে ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে। আরেকটি আসনে ও মনোনয়নপত্র ভুল হবার কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।তাই ভোট হবে ৯টি আসনে।এই এই পঞ্চায়েতটিতেও ত্রিমুখী লড়াই হবে।এছাড়াও সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত কালেকাতলা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ১৪ টি। ১৪ টি আসনেই সিপি(আই)এম সদস্যদের দখলে। এর আগে তৃণমূল কংগ্রেস কোন আসন পায়নি এই পঞ্চায়েতে।তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা ভোলানাথ দেবনাথ জানিয়েছেন যে “আমরা সিপি(আই)এমের দখলে থাকা পঞ্চায়েতর পরিবর্তন চাই ডাক দিয়ে প্রচার অভিযান জোরকদমে চালিয়ে যাচ্ছি”। ঘাস ফুল ফোটাতে ভোটারদের কাছে আবেদন দেখে বাড়ি বাড়ি আমাদের সরকারের প্রকল্পের কথা তুলে ধরছি। আশা করছি পঞ্চায়েতের এলাকায় আরও উন্নয়নমুখী কাজ করার জন্য ঘাসফুল চিহ্নে ভোট দেবেন ভোটাররা।স্থানীয় বিধায়ক তথা সিপি(আই)এম নেতা তথা  বিধায়ক প্রদীপ সাহা জানিয়েছেন যে “পূর্বস্থলী ২নম্বর ব্লকের অধীন মোট গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সংখ্যা ১৫৬টি। শাসকদলের সন্ত্রাসের কাছে আমরা ১৯ টি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি । আমাদের প্রার্থীদের  ব্যাপক মারধর করে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় প্রার্থীপদ তুলে নিতে বাধ্য করেছে। অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংখ্যা ২৭টি ও জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা ৩টি। সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর অফিস ছাড়া মহকুমা শাসকের অফিস চত্বরে যে মনোনয়নপত্র দাখিল করার সুযোগ আমরা পেয়েছি আমরা সব আসনেই প্রার্থী দিতে পেরেছি।এছাড়া ব্লক অফিসে কোনোভাবেই শাসকদলের সন্ত্রাসের কাছে আমাদের প্রার্থীরা ঠাঁই পায়নি। গণতন্ত্রকে হত্যা করছে শাসকদল।এই পঞ্চায়েত সমিতিতে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের দখলে এছাড়াও আরও দুটিতে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে এ ছাড়াও আরও পাঁচটি তে আমাদের সদস্যসংখ্যা অনেকটাই বেশি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত  দখলে নিতে পারবো”। অন্যদিকে সিপি(আই)এমের দখলে থাকা পঞ্চায়েতগুলো তৃণমূল দখলে নিতে জোর প্রচার অভিযান শুরু করে দিয়েছে। তৃণমূল নেতা তাপস দে জানিয়েছেন সরকারের প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন তাদের দলীয় কর্মী সমর্থকরা। তাই এবারের নির্বাচনে নিশ্চিত ভাবে বলা যেতে পারে সিপিএমের দখলে থাকা পঞ্চায়েত গুলো তৃণমূলের দখলে আসবে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here