করোনা–চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনা নিয়ে দুর্নীতি! তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

0
56

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

করোনা আবহে বিভিন্ন সময়ে জীবনদায়ী চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনতে হচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে। তার জন্য হচ্ছে বিপুল পরিমাণ খরচও। এবার তা নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিসেস কর্পোরেশন লিমিটেড নামে সরকারি সংস্থা এই চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার সময় বিপুল অঙ্কের টাকা নয়ছয় করেছে।

Mamata Banerjee | newsfront.co
ফাইল চিত্র

ইতিমধ্যে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে।
অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রায় প্রত্যেকদিনই গড়ে ১০০-২০০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। কখনও দৈনিক ভর্তি হওয়া রোগীদের সংখ্যা ৩০০-৪০০ও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে করোনা চিকিৎসা পরিষেবার ঘোষণা করার পরই প্রচুর পরিমাণ মাস্ক, পিপিই–সহ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়।

আরও পড়ুনঃ সোমবার থেকে দু’দিনের প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর

ইতিমধ্যে প্রায় ৩০ লক্ষ পিপিই, ৩৭ লক্ষ এন৯৫ মাস্ক ও ৪০ লক্ষ গ্লাভস অর্ডার দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এখনও পর্যন্ত এই খাতে ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই লেনদেনের ব্যাপারেই দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুনঃ যৌনকর্মী-তৃতীয় লিঙ্গদের জন্য ফ্রি রেশন-ডিজিটাল কার্ড, নির্দেশিকা জারি রাজ্যের

কোথাও কম দামের নিকৃষ্ট জিনিস বেশি দামে কিনে কোনও সংস্থাকে মুনাফা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, এত সরঞ্জাম কেনা হলেও হিসেবে প্রচুর গরমিল রয়েছে। নিয়মের বাইরে গিয়ে কিছু নির্দিষ্ট এজেন্সি থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা হয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতর মারফত এই দুর্নীতির কথা জানতে পেরেছে নবান্ন। এর পরই অভিযোগগুলি তদন্ত করে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।এর আগে আমফান ত্রাণ ও রেশন বিলি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এবারে যেন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য আগেভাগেই সতর্ক রাজ্য প্রশাসন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here