শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
করোনা পরীক্ষার চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে রাজ্য স্বতঃপ্রণোদিত তদন্তের নির্দেশ দিতেই সক্রিয় হয়েছিলেন রাজ্যপাল। এই বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবির পাশাপাশি রাজ্যে তদন্তের নামে হট ফেভারিট কাউকে লুকোতে চাইছে, এমন অভিযোগও করেছিলেন তিনি।

তার জবাব দিতে গিয়ে করোনা মহামারীর শুরুতে কেন্দ্রের তরফে ক্রটিযুক্ত র্যা পিড অ্যান্টিজেন কিটের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভার্চুয়াল কনফারেন্স থেকেই দাবি করলেন, ‘ওই ভেজাল কিট কোথা থেকে কার টাকায় কিনে সরকারি অর্থ নষ্ট করা হয়েছিল?
প্রসঙ্গত, প্রথম দিকে রাজ্যে টেস্টের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য পুল টেস্ট শুরু করে রাজ্য প্রশাসন। কেন্দ্র থেকে ওই বিশেষ কিট এলে তা দিয়ে প্রত্যেক ব্লকে ব্লকে পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু ওই ক্রিকেটের ফলাফল ত্রুটিপূর্ণ আসছে এমন অভিযোগ করে খোদ রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। দেখা গিয়েছিল অনেক করোনা পজিটিভ লোকজনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে। তার জেরে ঐ সমস্ত কিছু ফেরত নিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
আরও পড়ুনঃ ‘পুলিশ বিজেপি কর্মীদের উপর গুলি ছুঁড়লে বিজেপির কর্মীরা ফুল ছুঁড়বে না’ -সায়ন্তন বসু
পরবর্তীকালে অন্যান্য পদ্ধতিতে টেস্ট সংখ্যা বাড়লেও শুরুর দিকের দুর্নীতির কথা ভুলে যাননি মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য প্রশাসনের স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে করোনার চিকিৎসা সরঞ্জাম দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দিলে উল্টোদিক থেকে যে আক্রমণ আসবে তা তার জানাই ছিল। তাই এদিন নবান্নের ভার্চুয়াল বৈঠকের সময় সেই কিট দুর্নীতির কথা মনে করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার অনেক বেশি ট্রান্সপারেন্সি নিয়ে কাজ করে।
রাজ্য সরকার কত মাস্ক কিনেছে তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ‘কেয়ার’ ফান্ডে কত টাকা জমা পড়েছে? সেই হিসেবটা আগে দিন। করোনা পরীক্ষার জন্য যে এত ভেজাল কিট বেরোল, সেগুলো আপনারা কোথা থেকে কিনেছিলেন?’ এর জবাবে রাজ্যপাল আদৌ কোনো জবাব দেন কিনা, আপাতত সে দিকেই চোখ থাকবে রাজনৈতিক মহলের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584