শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
তার পরিশ্রমে এবং তার নিজের হাতে সাজানো তৃণমূল ধীরে ধীরে ধসে পড়ছে তার চোখের সামনেই। যে তৃণমূলের সদস্য বলে তৃণমূলের নেতারা গর্ব অনুভব করতেন, এখন প্রত্যেকেই মোহভঙ্গ হওয়ার কারণে ইস্তফা দিয়ে একের পর এক বেরিয়ে যাচ্ছেন।
এমনকি তৃণমূলের রাজনৈতিক গুরু প্রশান্ত কিশোর এবং তার আইপ্যাক টিমও বেসুরো নেতৃত্বদের গিয়ে বুঝিয়ে দলে ধরে রাখতে পারছেন না। এমন অবস্থায় শুক্রবার কালীঘাটে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে জরুরি বৈঠক ডাকলেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের সঙ্গে যা হচ্ছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি: অধীর
বিশেষত একদিকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে যেখানে মুখ্যমন্ত্রী একের পর এক জেলা সফর নির্দিষ্ট করছেন, সেখানে তৃণমূলের এই রাজনৈতিক অবক্ষয় গুরুতর মাশুল নিতে পারে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে। অভিযোগ, দলের মাঝারি বা বড় একাধিক নেতৃত্বের অভাব অভিযোগ শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, অনেকে কাজ করেও যোগ্য সম্মান পাচ্ছেন না। সেই কারণে ধীরে ধীরে বেসুরো হচ্ছেন অনেকেই।
বৃহস্পতিবারই দল ছেড়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ও আসানসোলের পুরপ্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সরাসরি না বললেও একাধিক নেতা কর্মীরা দলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন না এমনকি ফোন ধরছেন না।
আরও পড়ুনঃ শুধু শুভেন্দু কেন, আমি এখন ছেড়ে দিলেও দলের কোনো ক্ষতি হবে নাঃ সুব্রত মুখোপাধ্যায়
উল্টো সংবাদমাধ্যম থেকে তৃণমূল জানতে পারছে, বিভিন্ন নেতারা গোপনে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং সুযোগ পেলেই দল ছেড়ে দিচ্ছেন। যে নেতারা আবেগ দিয়ে রাজনৈতিক দল করেন, প্রশান্ত কিশোরের কর্পোরেট মনোভাব পছন্দ হচ্ছে না তাদের অনেকেরই।
এর আগে দলের জেলা সভাপতিদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তিনি। কিন্তু এবারে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্য। দলের ক্ষোভ সামাল দেওয়া এই মুহূর্তে তৃণমূলের মূল এজেন্ডা।
আরও পড়ুনঃ গলল না বরফ! শুভেন্দুর পর দল – পদ ছাড়লেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি
একইসঙ্গে দলে কেন এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে নিচু তলার কর্মীদের যোগাযোগে সমস্যা হচ্ছে কিনা এই সমস্ত একাধিক বিষয় নিয়ে দেন সরাসরি আলোচনা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল চালনার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা বদল হতে পারে। একইসঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপির বিভিন্ন রাজনৈতিক আক্রমণ কে কিভাবে সামলানো যায়, তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584