নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। এই দুয়ার সরকার কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্যই সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়ছে। সম্প্রতি রাজ্যের সমস্ত মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবার জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে যুগান্তকারী প্রকল্প বলছে তৃণমূল কংগ্রসে। সোমবারই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, তিনি নিজের নামে একটি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাবেন। সেই মতোই মঙ্গলবার সাধারণ মানুষের সঙ্গে একই লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সংগ্রহ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু করোনা টিকাকরণ
এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হরিশ মুখার্জি স্ট্রিটের জয় হিন্দ ভবনে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার নগরপাল অনুজ শর্মা, রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম-সহ দলের বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকরা। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই ‘দুয়ার সরকার’ ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বিতরণ কেন্দ্রে সাধারণ মানুষের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। কার্ডের লাইনে অপেক্ষার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্যরা পরিষেবা ঠিক মতো পাচ্ছেন কি না, তার খোঁজখবরও নেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ‘ চোখের আলো ‘ প্রকল্পের সূচনা বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে
এরপর কার্ড নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া, যেমন ছবি তোলা, থাম্ব ইমপ্রেশন-সহ সমস্ত কিছু সারেন। তারপরই হাতে পান স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। দরকার নেই নগদ টাকা। শুধুমাত্র একটি স্মার্টকার্ড দেওয়া হয় নাগরিকদের। সরকারি তথ্য বলছে, রাজ্যের সাড়ে সাত কোটিরও বেশি মানুষ এখনই স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবার আওতায় এসেছেন। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের বক্তব্য, রাজ্যের প্রতিটি পরিবারকে বছরে পাঁচ লক্ষ টাকার বিমার আওতায় আনা হয়েছে। রাজ্যের যে কোনও বেসরকারি হাসপাতালে ক্যাশলেস চিকিৎসা করানোর সুযোগ মিলবে। পরিবারের সকলেই, এমনকী মহিলা সদস্যের বাপেরবাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির সব সদস্যই এর আওতায় আসবেন।
প্রসঙ্গত, বাংলার সাড়ে ৭ কোটি মানুষের কাছে প্রকল্প পৌঁছনোর পরিকল্পনা সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘স্বাস্থ্য পরিষেবার অধীনে না থাকলেই সবার জন্য স্বাস্থ্যসাথী। বেসরকারি হাসপাতালেও মিলবে এই স্বাস্থ্যসাথী বিমার সুবিধে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার সুবিধা পাবেন রাজ্যবাসী’। ১ ডিসেম্বর থেকে এই স্মার্টকার্ড বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584