নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
২১-এর ২১ জুলাই অন্যান্য বছরের তুলনায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যে অনেকটাই আলাদা ছিল তা বেশ বোঝা গেল নেত্রীর আজকের শরীরী ভাষায়, ঝকঝকে প্রানবন্ত নেত্রী। ২১ জুলাইয়ের ১৩ জন শহীদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করার পরেই জাতীয় স্তরের বিজেপি বিরোধী দলের উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েই চলে গেলেন বক্তব্যের মূল পর্বে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবারের ভাষণের বেশিরভাগ অংশ জুড়েই দেখা গেল রাজ্য ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধিতার কঠিন আহবান। তারমধ্যে অবশ্যই একটা বড় অংশ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি থেকে সামগ্রিক দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি। যা রাজ্যের তো বটেই সঙ্গে সারা দেশের মানুষের মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সকলের দুশ্চিন্তার কারণ এবং সে নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা। অর্থাৎ ভাষণের প্রথম অংশ ছিল একেবারেই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের উদ্দেশ্যে, যারাই আসলে মমতার রাজনীতির মূল ভিত্তি।
কেন্দ্রের করোনা মোকাবিলায় “মনুমেন্টাল ফেলিওর” থেকে গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি ভেঙ্গে দেওয়ার প্রচেষ্টা, পেগাস্যাস ইস্যুতে নজরদারির মাধ্যমে ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণ করার চেষ্টা থেকে ভ্যাক্সিন নিয়ে দ্বিচারিতা সব উঠে এলেও পাওয়া গেল না বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ। অদ্ভুতভাবে, একবারের জন্য উচ্চারণ করলেন না নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গ, সে কি বিরোধী জোট গড়ায় বাধা সৃষ্টি হতে পারে ভেবে?
আরও পড়ুনঃ পেগাসাসের নাম করে আমার-আপনার সবার ফোন ট্যাপ করা হয়েছেঃ তৃণমূল সুপ্রিমো
করোনা মোকাবিলায় এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সে বিষয়ে শোনা গেলো না কোন সমালোচনা। কৃষক আন্দোলন, নতুন আইটি আইন এসব প্রসঙ্গ থেকে গেলো ব্রাত্য। দেশদ্রোহিতা আইনের ১২৪(এ) ধারা বিলোপ নিয়ে উত্তাল দেশ এমনকি এই আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের প্রধান বিচারপতিও , একবারের জন্য এই আইনের বিরোধিতার সুর শোনা গেলো না একুশের মঞ্চ থেকে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584