নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
করোনা ভাইরাসের দাপটে অস্থির রাজ্যবাসী। বাংলায় জাঁকিয়ে বসেছে এই ভাইরাস। দৈনিক ৩ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নেতা-মন্ত্রী, কেউই বাদ যাচ্ছেন না করোনার নজর থেকে। ইতিমধ্যেই করোনায় মৃত্যু হয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তিন বিধায়কের।
এবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও থাবা বসালো করোনা। শনিবার হাথরাস ইস্যুতে প্রতিবাদ সভার মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে ছেলেটি তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে তাঁকে চা দেন। তাঁর শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এমনকী, যিনি মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে ফোন ধরেন তাঁরও করোনা হয়েছে। করোনায় গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা এদিন নিজেই স্বীকার করে নেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ আগামীকাল পথে নেমে হাথরাস ইস্যুতে প্রতিবাদ মমতার
শনিবার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে কর্মসূচির শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোভিড যোদ্ধাদের স্মরণ করেন। তারপরেই বলেন, “সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে। আমি বাড়িতে যে ছেলেটা আমাকে চা দিত তাঁর করোনা হয়েছে।
এখন আমাকে চা দেওয়ার আর কোনও লোক নেই। আমার অফিসে যে ছেলেটা ফোন ধরত সেও কোভিড পজিটিভ। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন (গোষ্ঠী সংক্রমণ) শুরু হয়ে গিয়েছে।” হাথরাস নিয়ে প্রতিবাদের ইস্যুতেও দলীয় নেতৃত্ব, কর্মী-সমর্থকদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে আন্দোলন করতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ দেশ রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে- হাথরাসে প্রতিবাদে পথে নেমে হুঁশিয়ারি মমতার
প্রসঙ্গত, হাথরাস কাণ্ডে উত্তাল দেশ। সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করে শনিবার কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিড়লা প্লানেটোরিয়াম থেকে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মিছিলে এক হাতে টর্চ এবং আরেক হাতে কালো পতাকা নিয়ে হাঁটেন মুখ্যমন্ত্রী। সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে কোভিড প্রোটোকল মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই মিছিল হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584