মোহনা বিশ্বাস, কলকাতাঃ
২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে রাজ্যে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে রাজ্যের অধিকাংশ মানুষের কাছেই রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। কিন্তু রোগীর কাছে এই কার্ড থাকলেও হচ্ছে না চিকিৎসা। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখালেও বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলি ভর্তি নিচ্ছে না রোগীকে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি।
বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলি যাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ করে, সেইজন্য চাপ বাড়াতে বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রীর। সোমবার উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কোনো বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোম যদি সরকারি নির্দেশ অমান্য করে, তাহলে সেই হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
রাজ্য সরকার প্রদত্ত স্বাস্থ্যবিমা স্বাস্থ্যসাথী। পরিবারপিছু পাঁচ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমা রয়েছে এই প্রকল্পে। উত্তরবঙ্গের ওই প্রশানিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অনেক বেসরকারি নার্সিংহোম এবং হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড অবহেলা করছে। সরকারি প্রকল্পকে মান্যতা দিতেই হবে। না হলে তাদের লাইসেন্স বাতিলও হয়ে যেতে পারে।’’
আরও পড়ুনঃ ডেল্টার পর এবার AY.4.2, দেখা মিলল ভারতের ৭ জনের দেহে
এদিন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পাশাপাশি ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড’ ইস্যু নিয়েও বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে’র ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রেও যাতে পড়ুয়াদের কোনোরকম বাধার মুখে পড়তে না হয়, সে জন্য মুখ্যসচিব এবং স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবকে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গের ওই প্রশাসনিক বৈঠকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গেও রাজ্যবাসীকে বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে ফের বাড়ল পজিটিভিটি রেট, একদিনে মৃত্যু ১০ জনের
তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকায় অনেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন করতে পারেননি। কিন্তু এটা ভুল। যাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই, তাঁদের অন্য নথি ঠিক থাকলে তাঁরাও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন করতে পারবেন।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584