নিজস্ব সংবাদদাতা,দার্জিলিংঃ
বৃহস্পতিবার ফুলবাড়ি থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘পথশ্রী অভিযান’ এর উদ্বোধন করলেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে একসঙ্গে রাজ্য জুড়ে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা পুনর্নির্মাণ ও রক্ষণাবক্ষেণ করা হবে। ইতিমধ্যেই গ্রামের বিভিন্ন ভাঙা রাস্তা চিহ্নিত করা হয়েছে।
‘পথশ্রী অভিযান’ এর উদ্বোধনের পর তা সারিয়ে গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত করা হবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই গ্রামীণ ভাঙা রাস্তার কাজ সারিয়ে চলাচলের উপযুক্ত করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন যে, “আগামীকাল গান্ধীজীর ১৫১ তম জন্মদিন। সেই মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনকে সামনে রেখে তার পদতলে সমর্পণ করবো এই কাজ। তাই আমরা গান্ধীজীর জন্মদিনের ২৪ ঘন্টা আগে থেকেই এই ১২ হাজার কিলোমিটার পথ রক্ষণাবেক্ষণ করার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপনারা জানেন যে একদিকে কোভিড চলছে।
গত ছয় থেকে আট মাস কোন কাজই হতে পারছে না কোভিডের জন্য। তা সত্বেও এর মধ্যেও কাজ করা হচ্ছে। সড়ক পথ এগোলে তবেই কিন্তু সভ্যতা এগোয়। রাস্তা চালু থাকলে তবেই কিন্তু প্রগতি হয়। আর প্রগতি থাকলেই উন্নয়ন হয়। তাই পথই কিন্তু আমাদের দিশা। আর আমরা চাই সব গ্রামের সাথে অন্যান্য গ্রাম যুক্ত হয়ে বড় রাস্তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করুক ।
আরও পড়ুনঃ উত্তর সফর শেষে কলকাতা অভিমুখে মুখ্যমন্ত্রী
আর আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি বাংলা কিন্তু রাস্তা সড়ক নির্মাণে এক নম্বরে।” এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে “আগে এক সময় আমি শিলিগুড়ি আসতাম, আর এখন যখন আমি আসি শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িকে দেখে চেনাই যায় না। উত্তরকন্যা,বেঙ্গল সাফারি,ভোরের আলো তৈরি হয়েছে। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ তৈরি হয়েছে। নতুন জেলা আলিপুরদুয়ার,কালিম্পং তৈরি হয়েছে। এবং আমি গত পরশুদিন শিলিগুড়িতে এলাম তখন দেখতে পেলাম অনেকে মাস্ক পড়ছে না। তাই দয়া করে মাস্ক পড়ুন।
আরও পড়ুনঃ হাথরাস গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে সরব মমতা
নিজেকে বাঁচান অপরকে বাঁচতে দিন। যে কোন বড় ট্রাক যেন গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে না যায়। এরাই কিন্তু গ্রামের রাস্তাগুলোকে ভেঙে দেয়। এবং অনেকেই আছেন যারা রাত্রি বেলা ঢুকতে দেয়। এটা করা যাবে না।
আমরা ফ্রিতে রেশনের ব্যবস্থা করে দিয়ছি। বাংলা ছাড়া আর কোন রাজ্য করেনি। জুন মাস পর্যন্ত এই ফ্রি রেশনের ব্যবস্থা করেছি, এবং আগামীতে আরও করা হবে। আর ফ্রিতে চিকিৎসাও দেওয়া হচ্ছে। ৫ লক্ষ টাকা করে সাড়ে সাত কোটি পরিবারকে আমরা স্বাস্থ্যসাথী স্কিমে নিয়ে এসেছি। যাদের কাছে স্মাট কার্ড কাছে তারা পরিবারের জন্য দেড় লক্ষ টাকা খরচ করতে পারবে।
আরও পড়ুনঃ ধর্ষকের প্রকাশ্য এনকাউন্টারের পক্ষে সওয়াল লকেটের
এবং যদি কোন বেশি খারাপ অসুখ হয় তাহলে পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারবেন এইটা আমরা করে দিয়েছি। আর কেন্দ্র সরকার যা বলে সব মিথ্যা। দেড় কোটি লোক পাবে এবং আমরা সাড়ে সাত কোটি লোককে করে দিয়েছি। দুঃখের বিষয় কিছু লোক বলে একটা আর করে আর একটা। দলিতে উপর কত অত্যাচার করছে, আজকে দলিত লোক কান্না করছে। নির্বাচনের সময়ে বাইরে থেকে খাবার কিনে নিয়ে গিয়ে দলিতদের বাড়িতে গিয়ে বলে আমরা দলিতের বাড়ির খাবার খাচ্ছি। এরপর দলিতের উপর অত্যাচার চলছে । আজকে উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণ, খালি ধর্ষণ নয় ধর্ষণ করার পর কিভাবে জ্বালিয়ে দিল।
আরও পড়ুনঃ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে বিশেষ নজর রাখতে হবে পুলিশকে, নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
যদি কোন ক্রাইম হয় তাহলে পুলিশের তদন্ত করা দরকার। জ্বালিয়ে দিল এটা কোন ধরণের শাসন? এর আগে এক নেতা বলল যে মা ও মেয়েকে জ্বালিয়ে দাও। কখনও মাইনরিটির উপর আবার কখনও দলিতের উপর এবং এখনও আদিবাসীদের উপর অত্যাচার হয়। কখনও ভাববেন যে জেনারেল উপর অত্যাচার হয় না। রাজবংশীদের যা কথা দিয়ে ছিল কিছু করেনি। অনেক কথা দেয় উত্তরবঙ্গের জন্য সব চা বাগান খুলে দেবে কিন্তু তিন বছর হয়ে গেল খোলেনি। খালি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় কোন কাজ করে না।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584